হোম রংপুরদিনাজপুর কাউন্সিলর হয়েও পান বিক্রি করছেন নূর আলম

কাউন্সিলর হয়েও পান বিক্রি করছেন নূর আলম

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 113 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

সখ থেকেই নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জনগণের ভোটে কাউন্সিলর হয়েছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ ২২ বছরের পেশা পানের খিলি বিক্রি ছাড়েননি। জন প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবা করার পাশাপাশি পানের খিলি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর আলম সততার মাধ্যমে উপার্জন করতেই নিজের পেশা ধরে রেখেছেন।

হঠাৎ কেনো জন প্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছে হলো-এমন প্রশ্নে কাউন্সিলর নূর আলম সময় সংবাদকে বলেন, জনগণের চাওয়া পূরণ করতেই আমার মনে প্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা জাগে। গত তিন বছর ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানব সেবা করে আসছি। পান বিক্রি করে যা লাভ হয় তা মানুষকে চা-পান খাওয়াতেই চলে যায়।

নূর আলম বলেন, আমার জেনারেটরের ব্যবসা আছে সেখান থেকে যে আয় আসে তা দিয়ে চলে সংসার। পাঞ্জাবী মার্কায় নির্বাচন করে ৪৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আগামীতেও জনগণের সেবা চালিয়ে যেতে চান তিনি।

দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নূর আলম। বিরামপুর শহরের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে গত ২২ বছর ধরে খিলি পান বিক্রি করে আসছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দিয়ে আসছেন।

পানের দোকান করতে গিয়ে এমন চিন্তা মাথায় আসলো জানতে চাইলে কাউন্সিলর নূর আলম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পানের খিলি বিক্রি করে আসছি। এরই মাঝে অনেকের সঙ্গে সখ্যতার পাশাপাশি ও সম্পর্ক তৈরি হয়। তাছাড়া অন্যের কষ্টে আমি ব্যথিত হই। মনে মনে ভাবতাম যদি আমি জনপ্রতিনিধি হতাম তাহলে অসহায় মানুষগুলোর খেদমত করতে পারতাম। এই চিন্তা থেকেই আমার মাঝে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন জাগে।

নূর আলম আরও বলেন, আমার শ্বশুর একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। শ্বশুরের কাউন্সিলরের মেয়াদ শেষ হবার পরেই ২০২১ সালে আমি প্রথম কাউন্সিলরের নির্বাচন করি। আমার শ্বশুর আমাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তার পরামর্শ নিয়ে আজও আমি জনসভা করে আসছি।

স্থানীয় মাহমুদুল হক মানিক বলেন, বিরামপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর আলম পেশায় একজন পান দোকানি। বিরামপুরের ঢাকা মোড়ে অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ছোট্ট একটি খিলি পানের দোকান রয়েছে তার। এই পানের দোকান করতে করতেই তিনি কাউন্সিলর হয়েছেন। প্রথমে কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপরে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হন। উনি সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।

বিরামপুর পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী বলেন, নূর আলম পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তার সঙ্গে আমার আগে থেকেই পরিচয়। ওই ওয়ার্ডে তার শ্বশুরের আগে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে সেও ভালো ছিল। আমি ভাবতেই পারিনি সে আবার কাউন্সিলর নির্বাচন করবে। শেষ পর্যন্ত সে নির্বাচন করলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও সেবার কারণে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সুনাম, দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন