হোম জাতীয় খবরদারি নাকি আনুকূল্য, এবার কী উদ্দেশ্যে ঢাকা আসছেন ডোনাল্ড লু?

খবরদারি নাকি আনুকূল্য, এবার কী উদ্দেশ্যে ঢাকা আসছেন ডোনাল্ড লু?

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 16 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

বাংলাদেশ সম্পর্কে খবরদারিমূলক মনোভাব থেকে সরে এসে এখন কূটনৈতিক আনুকূল্য পেতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র- এমন মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলের পক্ষ নেয়ায় বাংলাদেশকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বার্তা অর্থহীন হয়ে পড়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, লু’র সফরে নতুন উচ্চতায় যাবে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এখন আর অপরিচিত কেউ নন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও জুলাইতে দুইবার বাংলাদেশে এসে আলোচনার সৃষ্টি করে গেছেন তিনি। এর আগে বারবার প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন তাদের ভাষায় সুষ্ঠু নির্বাচনের। নির্বাচনের আগে গত নভেম্বরে চিঠি দেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে।

সেই ডোনাল্ড লু চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আবারও আসছেন ঢাকায়। এটি হবে তার চতুর্থ ঢাকা সফর। তবে এবার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে কোনো নসিহত নয় বরং বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আসছেন তিনি।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লু মূলত আসছেন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ও আলোচনা হবে। ভবিষ্যতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করতে আলোচনা হবে।

নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবা ডোনাল্ড লু’র বক্তব্য ও আচরণের সঙ্গে এখন কি কোনো ফারাক এসেছে? অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে একরকম খবরদারি মনোভাব থেকে সরে এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের কূটনৈতিক আনকূল্য পেতে মরিয়া?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইন্দো প্যাসিফিক ও ভারত মহাসগর অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে পেতে চায় মার্কিন সরকার। পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে বাণিজ্যের সুযোগও ছাড়তে চায় না দেশটি।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কোন দেশ পৃথিবীতে যখন তার উন্নয়ন কাঠামো তৈরি করে, তখন বড় আকারের একটা জায়গা তৈরি হয় যে, সেখানে বড় বিনিয়োগ হতে পারে এবং সেখান থেকে বড় লাভ আসতে পারে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রও চাইবে বাংলাদেশের কোথায় বিনিয়োগ করা যায়। কারণ, এখন তো প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। অনেক দেশ আগ্রহ প্রকাশ করছে বিনিয়োগ করতে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলের পক্ষ নেয়ায় বাংলাদেশকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বার্তাগুলো অর্থহীন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘গাজা ও ইউক্রেনে এমন সব ঘটনা ঘটাচ্ছে যেখানে ‍যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের যেসব বার্তার কোন অর্থ থাকে না। এসব কথা এখন আর মানুষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে না।’

বাংলাদেশের পাশে চীন, রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো অবস্থান নেয়ায় বাংলাদেশ যেন সেদিকে মার্কিনবিরোধী ব্লকে ঢুকে না পড়ে, সে চিন্তাও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন