হোম খুলনাবাগেরহাট কুমারী সেজে একের পর এক বিয়ে ও প্রতারণার অভিযোগ মোংলার বীথি আক্তার নামের এক তরুণীর বিরুদ্ধে

কুমারী সেজে একের পর এক বিয়ে ও প্রতারণার অভিযোগ মোংলার বীথি আক্তার নামের এক তরুণীর বিরুদ্ধে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 215 ভিউজ

মোংলা প্রতিনিধি:

কুমারী সেজে প্রতারণার মাধ্যমে একের পর এক বিয়ে করা নেশায় পরিণত হয়েছে বীথি আক্তার(২১) নামে মোংলার এক সুন্দরী তরুণীর। এমন প্রতারনার অভিযোগ এনে বীথি আক্তার ও তার তৃতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে খুলনার বিঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোট-(০৩) এর আমলী আদালত তেরখাদা এর বিচারক মোঃ নাজমুল কবির এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী মেহেদী আক্তার ফাহিম নামক এক যুবক। মামলার বাদী মামলায় মেহেদী হাসান ফাহিম দাবী করেন,তিনি বীথি আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী।

মামলা সুত্রে জানাযায়,খুলনা নর্থ ওয়েষ্টার্ণ বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সময় অভিযুক্ত বীথি আক্তারের সাথে ভুক্তভোগী ফাহিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে নিজেকে কুমারী দাবী করে ২২/০২/২৩ তারিখে বীথি আক্তার পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে বসেন ভুক্তভোগী ফাহিমের সাথে। এর পর দুইজনের সংসার শুরু হলে মাত্র কয়েক দিনের মাথায় অভিযুক্ত বীথি আক্তার প্রায় সময় মুঠোফোনে কথা বলতে থাকেন অন্য ছেলেদের সাথে এবং ফেসবুক,ম্যাসেঞ্জারে অন্য ছেলেদের সাথে বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে মামলার বাদী ফাহিম জানতে পারেন, তাকে বিয়ে করার পূর্বে দুই সন্তানের জনক আশরাফ উদ্দিন মুন্না নামে এক যুবকের সাথে বীথি আক্তারের বিয়ে হয়েছিলো। প্র্ক্তান ম্বামী মুন্না বীথি আক্তারকে উচ্ছংখল জীবনযাপন ও পরকিয়ার অভিযোগ তুলে ৩০/১০/২২ তারিখ মোংলা কাজী অফিসে তালাক দেন এবং পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে পাচ লক্ষ টাকা দেন মোহন পরিশোধ করেন ।

ভুক্তভোগী ফাহিম দাবী করেন,তার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায়ই প্রাক্তন স্বামী মুন্নার ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা করত ও অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হত। বীথি একই সাথে অন্য ছেলেদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যেত। এমন অনৈতিক কাজে বাধা দিলে বীথি ফাহিমকে না জানিয়ে তার বাসা থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা, ল্যাপটপ,স্বর্ণালংকারও অন্যান্য মালামাল নিয়ে মোংলায় তার পিতার ভাড়া বাড়িতে চলে যায়। ঐ বাসায় বাসায় ও মুন্নার অবাধ যাতায়াত ছিল। বিথীর মা ও বোন বিথীর সকল অনৈতিক কাজে সহযোগীতা করে। এরপর গত ১৭/০৮/২৩ তারিখ ফাহিমকে তালাক নোটিশ পাঠান বীথি। পরের দিন ১৮/০৮/২৩ তারিখ ওই তালাক কার্যকর হওয়ার আগেই অন্য এক যুবক কে সাত লক্ষ টাকা দেন মোহরে রামপাল কাজী অফিসে তৃতীয় বিয়ে করেন। সেখানেও বীথি নিজেকে আবারও কুমারী দাবী করেন।

মামলার বাদীর এডভোকেট সুব্রত কুমার কুন্ড জানান, মামলার বিবাদী বীথি আক্তার ধূর্ত, প্রতারক ,লোভী চরিত্রহীন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন। যেখানের মুসলিম আইনে তালাকের ৯০ দিন অতিক্রান্ত না হলে তালাক কার্যকর হয়না। সেখানে মামলার ১ নম্বর বিবাদী তালাক নোটিশ দেওয়ার পরের দিন অন্য যুবককে বিয়ে করেন। সম্পর্ণ বেআনী ও দন্ডনীয় অপরাধ হওয়ায়া পেনাল কোড ৪৯৪,৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারায় আমরা মামলা দায়ের করেছি।

জানাযায়, বীথি আক্তার বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ের দিগরাজ গ্রামের আনোয়ার শেখ ও রুপিয়া বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে। বর্তমানে মোংলা পৌর শহরের বটতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সেখানে এক প্রতিবেশী জানান, বীথির পিতা একজন ইপিজেড শ্রমিক। পিতা গরিব হলেও অভিযুৃক্ত বীথি উচ্চাভিলাশি জীবন যাপন পছন্দ করেন। তাই নিজের সৌন্দয্যকে কাজে লাগিয়ে নানা প্রতারনা করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে বাগেরহাট ও খুলনা আদালতে প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত বীথি আক্তারের তৃতীয় স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত ১৮/০৮/২৩ তারিখ তিনি বীথিকে বিয়ে করেন। বীথির পুর্বে দুইটি বিয়ে হয়েছে বা স্বামীকে তালাক দিয়েছে এ বিষয়ে সব কিছু গোপন করা হয়েছে তার কাছে। বীথি তাকে জানিয়েছেন,খুলনায় একটি বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়েন তাই খুলনায় বসবাস করে সে। আমি সরল মনে তার কথা বিশ্বাস করে তাকে বিয়ে করি। কিন্ত কিছু দিনের মধ্যেই পরকীয়া শুরু করে এবং আমি সেটা হাতেনাতে ধরে ফেলি। এর পর সে আমার সংসার থেকে চলে যায়।

প্রতারনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বীথি আক্তারের ০১৭৮৮৫২০১৬৫ ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে বীথি খারাপ আচরণ করে বলেন, “যা মন চায় লিখেন”।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন