হোম Uncategorizedবাংলাদেশ আশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 73 ভিউজ

হুমকির মুখে ১০ হাজার বিঘা কৃষি জমি!
আশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
চন্দন চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন যাবত আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া নদীতে বাঁধ দেয়া ও স্লুইসগেট নির্মান না করার ফলে বিঘ্ন হচ্ছে আবাদি জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এতে আশপাশের প্রায় ১০ হাজার বিঘা কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, নদীটি উন্মুক্ত করে বিলের পানি সরে যেতে দিলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
এই দাবিতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে চেউটিয়া নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেছে অত্র এলাকার সাধারন জনগন। বৃহস্পতিবার সকালে খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালিতে চেউটিয়া নদীর পাড়ে স্থানীয় শিবপদ মন্ডলের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন করা হয়।
এতে স্থানীয় কিংকর মন্ডল, হিরন্ময় মন্ডল, মনিন্দ্রনাথ মন্ডল সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, আশাশুনির খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার বিঘা আবাদি জমি রয়েছে। প্রতিবছর সেখানে বিপুল পরিমান ধান উৎপাদন হতো যা দিয়ে জেলার খাদ্যশস্যের চাহিদা মিটতো। কিন্তু কয়েক বছর যাবত পার্শ্ববর্তী চেউটিয়া নদীটি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়ার পর থেকে বিলের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কারন মাছ চাষীরা খালের ওপর বাঁধ দিয়ে ও নেটপাটা লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এই কারনে নদীটি পলি জমে ভরাট হয়ে পানিধারন ক্ষমতা হারিয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ ঘের তৈরী করায় নোনা পানিও বিলে প্রবেশ করছে।
এসব কারনে ওই এলাকার চাষীরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ বাদ দিয়ে এলাকা ছেড়ে অনত্র চলে যাচ্ছেন। অনেকে দিনমজুর হিসাবে কাজ করছেন। এর ফলে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে, অর্ধাহারে ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ফসল না হওয়ায় বিশাল এই বিলে গরু ও ছাগল চরাচ্ছেন অনেক কৃষক।
বক্তারা আরও বলেন, খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত কালকি নামক স্লুইসগেটটি খুলে দেওয়া হলে বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ সহজ হবে। এছাড়া ইজারা বাতিল করে চেউটিয়া নদীকে খোলপেটুয়া নদীর সাথে সংযোগ করিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রায় ১০ হাজার বিঘার বিশাল এই বিলটিতে যদি ফসল ফলানো না যায় তাহলে কৃষকরা জমি বিক্রি করে দিতে পারে আর এতে লাভবান হবে স্থানীয় ভূমিদস্যূরা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন হাবিবুর রহমান, গণেশ চন্দ্র বৈদ্য, প্রদীপ চক্রবর্তী সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
বিষয়টি নিয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, দ্রুত এটি সমাধান করা হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান স্থানটি পরিদর্শন করেছেন এবং এই পানি নিষ্কাশনের পথ বাতলে দেবার উপায় চিহ্ণিত করে করে তার কাছে দিতে বলেছেন। এছাড়া আমি স্থানীয় কৃষকদের ৫ লাখ টাকা নিজ উদ্যোগে সহায়তা করেছি। আপাতত মেশিন ও পাইপের মাধ্যমে পানি বের করে দেওয়া হবে। আর কালকি নামক স্লুইসগেটটি চালু করে বর্ষা মওসুম ও শুকনো মওসুমে পানির তারতম্য ও ভারসাম্য ধরে রেখে পানি নিষ্কাশন করা হবে। এই কাজের জন্য এডিসি কাজী আরিফুর রহমানকে লোক রাখতে বলেছি। আশাকরি এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন