মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ১৪ নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের দত্তকোনা গ্রামে ১৫ বছর ধরে বসবাস করা এক ব্যক্তিকে বসতভিটা থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া, বাড়ির গেটে লাগানো হয়েছে তালা। বর্তমানে তার নিজের বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগকারী দত্তকোনা গ্রামের মোঃ মান্নান গাজীর ছেলে জি,এম রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, তার পিতা একই গ্রামের মোঃ শহিদুল্লাহ গাজীর কাছ থেকে ১৫ বছর আগে ১৩৪৬ দাগের ১৭ শতক জমি ক্রয় করেন। সেখানে ঘরবাড়ি তৈরী করে গত ১৫ বছর ধরে তিনি ও তার পরিবার নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি শহিদুল্লাহ গাজীর ছেলে মোঃ আনিচুর রহমান ওই ১৭ শতকের ১৩ শতক জমি নিজের বলে দাবী করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করে। মামলায় একতরফা রায় ঘোষণা করে বিজ্ঞ আদালত আনিচুর রহমানকে ডিক্রী দেয়। এই রায় প্রাপ্তির পর রবিউল ও আনিচুরের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর শালিসী সভা হয়। সভায় উভয়পক্ষকে মীমাংসার জন্য বিবাদমান জমির সকল কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে আরেকটি সভায় মীমাংসা করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু আনিচুর এসবের তোয়াক্কা না করে ১২ জানুয়ারি জোরপূর্বক রবিউলের বসতভিটার বেশকিছু ফলজ গাছ কেটে ফেলেছে ও চারিপাশ দিয়ে বেড়া নির্মাণ করেছে এবং তার বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রবিউল। তিনি আরও জানান, তার বসতভিটার জমির উপরে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আরও যে গাছ-গাছালি আছে সেগুলিও বিক্রি করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিউলের বাড়ির চারপাশে এমনকি ঘরের সিড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকানো ও গেটে তালা ঝোলানো দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার ব্যাপারে আনিচুরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী ফোন ধরে জানান, তিনি বাড়িতে নেই পরে কথা বলবেন। ওদিকে আতংকে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রবিউল।