রাজনীতি ডেস্ক:
স্বাধীনতা দিবসেও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সীমান্তে বিএসএফের হাতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। এ ছাড়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে এক তরুণকে নিয়ে যায় বিএসএফ।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা এবং আরেকজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।
তিনি বলেন, সীমান্তে এমন ঘটনার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেয়া দূরে থাক, টুঁ শব্দটিও তারা করেননি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু সীমান্তে মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না তাবেদার সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার আঁকড়ে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।