হোম জাতীয় টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, হুঁশিয়ারি রেলমন্ত্রীর

টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, হুঁশিয়ারি রেলমন্ত্রীর

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 58 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, এবার ঈদুল ফিতরে ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীদের কোনও ভোগান্তি পোহাতে হবে না। আশাকরি ঈদে যাত্রীরা নির্বিঘ্নেই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এ সময় টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে গিয়ে একটা টিকিট ৫০০ টাকার পরিবর্তে, যদি ৭০০ টাকা দেন তাহলে সেটি কালোবাজারি।কালোবাজারিদের ধরার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন কালোবাজারি এবং এই সিন্ডিকেটের কয়েকজন নেতা ধরা পড়েছে। টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স।

যাত্রীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কালোবাজারিদের কাছ থেকে আপনারা কোন টিকিট কিনবেন না। কালোবাজারিরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়, রেলকে ধ্বংস করতে চায়। তারা নিশ্চয় অন্য কারোর সহযোগিতা নিয়ে রেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করে দেশটাকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শক্ত হাতে দেশের শাসনভার হাতে নেয়ার পরে দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র কর্মকাণ্ড ছিল দেশটাকে ধ্বংস করার। তারা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। বিএনপির সময় ফরিদপুর-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ বিক্রি করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই রেলের দায়িত্ব নিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। আমরা ৮০০ থেকে ৮৫০ ইঞ্জিনসহ ট্রেনের বগি আমদানি করার চেষ্টা করছি। সেগুলো আমদানি করতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে দেশকে সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। কিন্তু বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্র করে দেশটাকে পিছিয়ে দিতে চায়। এদেশের জনগণ উন্নয়ন চান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন চান। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে এই দেশটাকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব। আজকে এই স্বাধীনতার দিনে আমাদের শপথ হবে এটিই, যে আমরা দেশটাকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন