হোম খুলনাযশোর কেশবপুরে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধ্রুমজাল

কেশবপুরে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধ্রুমজাল

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 11 ভিউজ
স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের কেশবপুরে এক নবজাতক মৃত্যু ঘটনা নিয়ে গত ৪ দিন ধরে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে ফেসবুকে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তিকর তথ্য পোস্ট দেয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ক্লিনিকের ভুল অপারেশনে নবজাতকের মৃত্যু হলো, নাকি রোগীর স্বজনদের দায়িত্বে অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এনিয়েই ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের হাসান আলী গাজীর স্ত্রী জলি বেগমের ৩ দিন ধরে প্রসব বেদনা দেখা দিলে ২২ নভেম্বর সকাল ৯টায় কেশবপুর মডার্ন হাসপাতালে অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সকল পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে রোগী ও নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতি মাতাকে খুলনায় রেফার করে। কিন্তু হতদরিদ্র হাসান আলী গাজী ব্যাপক টাকা খরচের কথা বিবেচনা করে ওই ক্লিনিকেই রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করতে বার বার অনুরোধ করে। কিন্তু রোগীর গর্ভের নবজাতকের বয়স মাত্র ৩৩ সপ্তাহ ৪ দিন। ৩দিন আগে প্রসব বেদনা ওঠার কারণে প্রসূতি মাতার জ¦রায়ুর নাড়ি ফেঁটে রক্তপাত ঘটে। এরপরও গর্ভাশয়ে পানি শূন্যতা রয়েছে। এঅবস্থায় পেটের নবজাতক বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম বলে ডাক্তার অপারেশন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে হাসান আলী গাজী বলেন, রোগী ও বাচ্চার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ডাক্তার অপারেশন করতে রাজি হয় না। তখন আমি লিখিত দিয়েছিলাম। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার স্ত্রীকে বাঁচানোর স্বার্থে নবজাতক মারা গেলেও আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। তারপর ক্লিনিক মালিক অপারেশনের প্রস্তুতি নেয়।
ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সকল নিয়ম কানুন মেনে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে নামমাত্র মূল্যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসহায় ও দুস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।
অ্যনেসথেসিয়া ডাক্তার  অঞ্জলী রায় রোগীকে অজ্ঞান করান, অপারেশন করেন ডাক্তার আবুবকর সিদ্দিক। অ্যাসিট্যান্ট ডাক্তার ছিলেন ডাক্তার মৌসুমী ইয়াসমিন। সফল অপারেশনে একটি নবজাতকের জন্ম হয়। কিন্তু জন্মের কিছুক্ষণ পরই নবজাতকটি মারা যায়।
নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে গত ৪ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তিকর তথ্য পোস্ট দেয়া অব্যাহত রয়েছে। ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম  মিথ্যা ও বিভ্রান্ত সৃষ্টির জন্য ফেসবুক ব্যবহার কারি ও অনৈতিক সুবিধা আদায় প্রচেষ্টা কারিদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় আবেদন করেছেন বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, রোগীর স্বজনরা সময় মত রোগীকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিয়ে আসলে নবজাতকের মৃত্যু হার অনেকটাই কমে যাবে। এর জন্যে সবাইকে সচেতন হতে হবে। অপারেশন থিয়েটারে সকল নিয়ম মানা হয়েছে। এতে স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই। #

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন