হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার ঝুঁকিতে যুব সমাজ

মনিরামপুরে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার ঝুঁকিতে যুব সমাজ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 88 ভিউজ

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর, মনোহরপুর, দূর্বাডাঙ্গা ও কুলটিয়া ইউনিয়নের অনেকেই এখন অনলাইন ক্যাসিনো নামের জুয়ায় মত্ত হয়ে উঠছে। উপজেলার জুয়াড়িরা ওয়ান এক্সবিট নামে অনলাইন জুয়ায় সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট ও আসক্ত হচ্ছে। ওই এলাকার প্রতিটি বাজারে আড্ডার আড়ালে চলে এই অনলাইন ক্যাসিনো নামের জুয়া।

বিভিন্ন চা স্টলে, গুদাম ঘরের মেঝে, প্রতিষ্ঠানের ছাদে, খোলা মাঠে, এমনকি বাড়িতে শুয়ে বসে চলছে ক্যাসিনো জুয়ার আসর। অনেকে জুয়ার টাকা জোগাড় করতে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে পারিবারিক কলহসহ নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা। মনোহরপুর ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি নিজে কৌতূহলবশতঃ একটি অ্যাপস নামিয়েছি। এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে ডিপিও করি ৫০০ টাকা। চোখের পলকে মনে হলো ফুড়–ৎ করে বাতাসে টাকাটা নিয়ে চলে গেল। তবে আমি মনে করি এভাবে যদি চলতে থাকে এলাকার যুবসমাজ নিঃস্ব হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জুয়াড়ি জানান, মনোহরপুর ইউনিয়নের মৃত ইউসুফ আলী গাজীর ছেলে নাজিউর রহমান মাস্টার এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া পাভেল, পাপ্পু, আলী আজম বাচ্চু, আব্দুল্লাহ, বাপ্পারাজ, , তাহের, দবির ধাবক, দিপংকরসহ অনেকেই অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছে। নেহালপুর ইউনিয়নে মাস্টার এজেন্টের দায়িত্ব রয়েছে বালিধা গ্রামের জামেদ গাজীর ছেলে ই¯্রাফিল গাজী নামের আরেক জুয়াড়ি। তার অধীন এজেন্ট রয়েছে ইমদাদ, শাহীন, রিপন, বাহারুল, শফিকুল, তরিকুল, সিরাজ, ইনামুল, মহিদুলসহ বেশ কয়েকজন। একইভাবে দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে তাজাম্মুল, তরিকুল, সজীব, জিসান এবং কুলটিয়া ইউনিয়নেও মাস্টার এজেন্ট ও এজেন্টদের মাধ্যমে চলছে জুয়া।

স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের অভিযান চলমান থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না জুয়া খেলা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নেহালপুর ও মনোহরপুর থেকে ৫ জনকে আটক করে আদালতে পাঠায়। এ ছাড়া ১৪ মার্চ আবারও ডিবি পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়।

নেহালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আঃ হান্নান জানান, অনলাইন জুয়া বন্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তথ্য পেলেই জুয়ার আড্ডায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই অনলাইন ক্যাসিনো সম্পর্কে বিভিন্ন এলাকার সচেতন মহলের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে এলাকার কিছু দালাল প্রকৃতির লোকেরা এজেন্টদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন