হোম অন্যান্যসারাদেশ বিএসটিআইয়ের পরীক্ষা ছাড়া হেলমেট বিক্রি করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএসটিআইয়ের পরীক্ষা ছাড়া হেলমেট বিক্রি করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 61 ভিউজ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষা শেষে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট বাজারজাত করতে হবে।

বুধবার (১৭ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নে টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল চালকরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাস-ট্রাক যে পরিমাণ দুর্ঘটনায় পড়ে, তার চেয়ে মোটরসাইকেল বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। যে কারণে আমরা চালক ও আরোহীর হেলমেটের মান নিশ্চিত করতে চাচ্ছি।

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশে হেলমেট তৈরি হোক কিংবা বিদেশ থেকে আমদানি করা হোক; চূড়ান্তভাবে বিএস টিআই সনদ নিয়ে তা বাজারজাত করতে হবে। এর আগে পারবে না। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মান নিশ্চিত হয়ে হেলমেট বাজারজাত করার অনুমোতি দেবে।
 
সভায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, জননিরাপত্তা সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, টার্মিনাল ছাড়া কোনো স্থান থেকে সার্ভিস চার্জ কিংবা চাঁদা আদায় করা যাবে না। সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোথাও চার্জ, টোল কিংবা ফি আদায় করা যাবে না। সিটি কর্পোরেশন যেখানে ঠিক করে দেবে, সেখান থেকেই আদায় করতে হবে। বাইরের জেলাগুলো, যেখানে সিটি কর্পোরেশন নেই, সেখানে পৌরসভা কিংবা জেলাপ্রশাসকের নির্ধারণ করে দেয়া জায়গা থেকে এসব সার্ভিস চার্জ আদায় করা যাবে।

‘মোটরসাইকেল চালকদের যেসব সিটি কর্পোরেশন সেবা দেয়, তাদের একটি নির্ধারিত জায়গা থাকবে, সেখান থেকে ছাড়া আরও কোথাও থেকে কোনো ফি আদায় করা যাবে না। রাস্তাঘাটে গাড়ি থামিয়ে কোনো চাঁদা নিলে তাদের নামে নিয়মিত মামলা হবে। আর এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন মামলা করবে’, যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‍‍ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলগুলোকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটি) লাইসেন্স নিতে হবে। যারা নতুন করে ড্রাইভিং স্কুল তৈরি করবেন, তাদের এ অনুমোদন নিতে হবে। কোনো অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল কেউ করতে পারবেন না। এমনকি যেগুলো চালু আছে, সেগুলো বিআরটিএ পরীক্ষা করবে, এরপর সনদ পেলেই তারা কেবল প্রতিষ্ঠান চালু করতে পারবে।

চালকদের ডোপ টেস্টে ৯০০ টাকা ফি বেশি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা কমানোর জন্য একটি সুপারিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারা এটি বিবেচনা করবে। গাড়ি চালক ও কন্ট্রাকটর, সুপারভাইজার ও হেলপারদের নিয়োগপত্র দেয়ার একটি আইন করা হচ্ছে। সেটি পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। নিয়োগপত্র দেয়ার বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের হেলমেট যে বিক্রি করবে বিএসটিআইর কাছ থেকে তার অনুমোদন নিতে হবে। যে কোম্পানি বানাবে বা আমদানি করবে তাদের অনুমতি নিতে হবে। বিআরটিএর স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী তারা বানাবে, সেটার সার্টিফিকেট দিবে বিএসটিআই।
 
বিআরটিএ-তো আগে থেকেই অননুমোদিত হেলমেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এটাকে আরও ভালোভাবে যাতে বাস্তবায়ন করা যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাজারজাত করার আগেই অনুমতি নিতে হবে।

বাজারের মানহীন হেলমেট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিআরটিএ পুলিশি সহযোগিতা চাইলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। এ ব্যাপারে বিআরটিএ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন