বাণিজ্য ডেস্ক:
একের পর এক অগ্নি দুর্ঘটনা আর হতাহতের পরও চরিত্র বদলায়নি পুরান ঢাকার। বহাল তবিয়তে ঘিঞ্জি এলাকায় একই সঙ্গে চলছে রাসায়নিকের গুদাম, প্লাস্টিক কারখানা, সেই সঙ্গে মানুষের বসবাস। ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে মানুষ দিন পার করলেও শৃঙ্খলায় আনা যাচ্ছে না কারখানা। ফায়ার সার্ভিস বলছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সামনে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ বিপদ।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে প্লাস্টিকের নানা পণ্য তৈরি অবশ্যই একটি সম্ভাবনাময় খাত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেমন তার কাজের পরিবেশ?
সরেজমিনে কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, মালামালে ঠাসা জায়গা আদতে কারখানা নাকি গুদাম ঘর বুঝে ওঠা দুষ্কর। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিক পণ্য ও প্লাস্টিকের তৈরি কাঁচামালের ফাঁকে কোনোমতে চলছে মেশিন। নেই পা ফেলার সামান্য জায়গাও।
সিঁড়িসহ ওপরের তলায়ও ধরে ধরে সাজানো বস্তার স্তুপের ভিড়ে পা রাখা দায়। ছাদজুড়ে তৈরি পণ্যের গোডাউন, আবার তার পাশেই শ্রমিকদের থাকার ঘর।
পুরো পুরান ঢাকাই যেন এখন পরিণত হয়েছে একটি বাড়ি একটি খামারের আদলে একটি বাড়ি এক বা একাধিক কারখানায়। যে যেভাবে পারছেন কারখানা চালাচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিচে কারখানা ওপরে মানুষের বসবাস।
এক দিকে সরু রাস্তা, পানির উৎসের অভাব, অন্যদিকে বাড়ি বাড়ি কারখানা থাকাকে সম্পূর্ণ বেআইনি উল্লেখ করে দ্রুত শৃঙ্খলা ফেরানোর পরামর্শ ফায়ার সার্ভিসের।
লালবাগ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মাস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে বিদ্যুতের লাইনগুলোও এলোমেলোভাব আছে। এগুলো গুছিয়ে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
যত্রতত্র কারখানা স্থাপন বন্ধে বাড়িওয়ালাদেরও লোভ সংবরণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।