হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে বসতভিটা দখলবাজদের কালো থাবা থেকে রক্ষা পেতে ও হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে দরিদ্র কৃষকের আকুতি

নড়াইলে বসতভিটা দখলবাজদের কালো থাবা থেকে রক্ষা পেতে ও হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে দরিদ্র কৃষকের আকুতি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 21 ভিউজ

নড়াইল অফিস:

নড়াইলে জোর করে বসত বাড়ির জমি দখল ও মিথ্যা হয়রানীমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাজল মল্লিক ওরফে নূর মোহাম্মদ মল্লিক নামে এক কৃষক। তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার মূলশ্রী গ্রামের আব্দুল বারিক মল্লিকের ছেলে।

গতকাল সোমবার বিকালে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে কাজল মল্লিক প্রশাসনের কাছে এই আবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন বাবার কাছে থেকে দলিলসূত্রে পাওয়া বাগুডাঙ্গা মৌজার ৫৯০ খতিয়ানের ৮৩১ দাগের ৭৫শতাংশ জমি দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। এই সম্পত্তি আমার নিজের নামে নামপত্তর করা হয়েছে। যার নামজারি খতিয়ান নম্বর ৫৯০। কিন্তু প্রতিবেশি সুমনা খানম অদৃশ্য শক্তির বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে ভুল তথ্য প্রদান করে জোর করে আমার বসত বাড়ির জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে এবং আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। মামলার খরচ জোগাড় না করতে পেয়ে আমার বসত বাড়ির থেকে ৩ শতক জমি বিক্রি করেছি।

কাজল মল্লিক আরও বলেন, প্রতি বেশি সুমনা খানমের বাড়ি থেকে প্রধান সড়কে বের হবার ১০ ফিট বিকল্প রাস্তা থাকলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে টাকার জোরে আমার নিজ নামে বসত বাড়ির মধ্য দিয়ে রাস্তা তৈরি করে চলাচল করতে চায়। আমরা সুমনা খানমের অযৌক্তিক কথায় রাজি না হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করছে। আমরা তার এই সড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে চাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজল মল্লিকের দুই ছেলে অয়েজ আলী মল্লিক, ফয়জুল্লাহ মল্লিক, স্ত্রী আম্বিয়া বেগম ও ভাই বিপ্লব মল্লিক।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সুমনা খানম বলেন, আমাদের বাড়ির থেকে বের হবার বিকল্প রাস্তাটা অন্য মালিকের। আমরা বাড়ি থেকে বের হবার জন্য কাজল মল্লিকের ৮৩১ নং দাগের জমির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে আসছিলাম। আমার স্বামী বিদেশে থাকার কারণে এই জমি দলিল আমরা করে নিতে পারি নাই। জমির দলিল না থাকলে ও তিনি নিজেকে জমির মালিক দাবি করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন