চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:
স্থানিয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া কিশোরী (১৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে ঘটনার ৩৭ দিন পর উপজেলার দুলারহাট থানায় মামলা করেছে ভূক্তভোগীর পরিবার।
চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের ওই ছাত্রী গেল ৬ডিসেম্বর রবিবার বেলা ১১টার সময় ক্লাসের এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে বাড়ি আসার পথে একই এলাকার বাহার খলীফার ছেলে শাহিন ও অজ্ঞাত একাধিক যুবক মিলে ওই ছাত্রীর মুখে চেতনানাশক রুমাল চেপে মুন্সিরহাট এলাকায় খালা বাড়ির কাছে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় শাহিনসহ অন্যান্য যুবকদের নির্যাতনে ওই ছাত্রীর জ্ঞাণ ফিরলে তার ডাক চিৎকারে শাহিনসহ অন্যান্যরা কৌশলে পালিয়ে যায় বলে ভূক্তভোগীর মা অভিযোগ করেন। পরে মহিলা ইউপি সদস্য শাহিদা বেগমসহ দুলারহাট থানাপুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
ভূক্তভোগীর মা আরও অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান পার্শ্ববর্তী নুরাবাদের ইউপি সদস্যসহ মোট ৬জন ইউপি সদস্য এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য সালিস ফয়সালা করে ধর্ষক শাহিনের সঙ্গে ওই ছাত্রির বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় ভূক্তভোগী পরিবার তাৎখনীক মামলা করতে পারেনি বলেও দাবী করেন। তবে শাহিনের পরিবারেরা ছেলে মেয়ের বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও সালিসদারগণ কালক্ষেপন করে ধর্ষক শাহিনসহ জড়িতদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বলে জানান ছাত্রীর মা।
ওই ছাত্রীর চাচা সালাহ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার পূর্বেও ওই ছেলে পিতৃহারা আমার ভাতিজিকে বিভিন্ন নির্জন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে স্থানিয়রা সালিস করলে ৫০হাজার টাকাও জরিমানা দেয় ওই ছেলের পরিবার। আর জরিমানা দেয়ার জের ধরেই শাহিনসহ তার বখাটে বন্ধুরা মিলে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করেছে।
সালিস ফয়সালার অভিযোগ জানতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ১২ জানুয়ারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাহিনসহ তার সহদোর ছোট ভাই এবং তার পিতা ও অজ্ঞাত নামে থানায় ভূক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদি হয়ে একটি এজহার দিলে তা রুজু করা হয় বলে জানান দুলারহাট থানার ওসি মোরাদ হোসেন।