জাতীয় ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতাও বাড়ছে। চিনির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে উৎপাদন বাড়ানো এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় চিনি শিল্প ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতেই চিনির চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে। অধিকাংশ দেশেই যতটুকু চিনি খেতে বলা হয় তার চেয়ে বেশি চিনি খাওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের (আইএসও) তথ্য মতে, ২০০১ সালে বিশ্বব্যাপী চিনি খাওয়ার পরিমাণ ছিলো ১২৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন। যা বেড়ে ২০১৮ সালে দাঁড়ায় ১৭২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টনে। গত পাঁচ দশকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা বাড়ার কারণে চিনি গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বছরে আমাদের চিনির চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ টন। এর মধ্যে আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ৮০ হাজার টন। চিনি উৎপাদনের এই চিত্রটি আমাদের জন্য নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক। এদেশের চিনি শিল্প ও আখচাষিদের বাঁচাতে হলে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’
বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সভাপতি ও পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম, পরিচালক এটিএম কামরুল ইসলাম তাং, খোন্দকার আজিম আহমেদ, মো. আতাউর রহমান খান, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা।