হোম আবহাওয়া বার্তা ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আসছে, মিয়ানমারের দেওয়া এই নামের অর্থ জানেন?

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আসছে, মিয়ানমারের দেওয়া এই নামের অর্থ জানেন?

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 78 ভিউজ

আবহাওয়া ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ইতোমধ্যে ঝড়টি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং মঙ্গলবার সকালে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

তবে সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, মানুষের আগ্রহ ততই বাড়ছে, কতটা প্রকট হবে মিগজাউম, এর প্রভাবে কতটা ক্ষতির মুখে পড়বে মানুষ?

আর মিয়ানমারের দেওয়া এই নামের অর্থ-বা কী– উৎসুক অনেকেই।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। নামের ক্রম অনুযায়ী এবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মিগজাউম’।

ইন্টারনেট ঘেঁটে জানা যায়, মিয়ানমারের দেওয়া ‘মিগজাউম’ একটি বার্মিজ শব্দ। যার অর্থ ‘বড় ও শক্তশালী ঈগল’।

মিগজাউমের পর এই অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবে তার নাম ‘রিমাল’। এই নামটি আরব দেশ ওমানের দেওয়া।

এছাড়া রিমালের পর যেসব ঘূর্ণিঝড় আসবে সেগুলো হচ্ছে পাকিস্তানের দেওয়া নাম ‘আসনা’, কাতারের দেওয়া নাম ‘ডানা’ এবং সৌদি আরবের দেওয়া নাম ‘ফিনগাল’।

এদিকে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম বঙ্গোপসাগরের উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্ররকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন