খুলনা অফিস :
সারা দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে লক ডাউন চলছে বিভিন্ন জেলায়। ফলে খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় মাঠে কৃষকের পাকা ধান কাঁটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। মাঠের পর মাঠ রয়েছে পাকা সোনালী ধান। অপরদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে সামনে হতে পারে বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া। ফলে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে কৃষকের ধান। এই ধান নষ্ট হলে খাদ্য সংকটে পড়বে পুরো দেশ।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার কৃষকের পাকা ফসল ঘরে তুলতে তাদের পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা। এদিন সকালে নগরীর দৌলতপুরের দেয়ানা বিলে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলতে সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেন নেতার্মীরা। এসময় এলাকার কয়েখজন কৃষকের মাঠের ধান কেটে বাড়ীতে পৌছে দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন উপজেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা এই কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ জানান, সকালে আমরা তিন বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছি। বিকালে আরো কৃষকের ধান কাঁটা হবে। আমরা বিশ্বাস করি কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গতকাল বটিয়াঘাটায় কয়েখজন কৃষকের ধাঁন কেঁটে দিয়েছে। আজ আমরা দৌলতপুরের ধান কেঁটেছি। পর্যায়ক্রমে তেরখাদাসহ বিভিন্ন উপজেলায় যেসব কৃষক ধান কাটতে পারছে না তাদের জমির ধান কেটে দেয়া হবে।
কৃষক আজহার মোড়লসহ অন্যরা জানান, তারা কিছু শ্রমিক নিয়ে প্রতি বছর কয়েক বিঘা করে জমিতে ধান চাষ করেন। এবার শ্রমিকের অভাবে ধান কাঁটতে পারছিলেন না। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা এসে তাদেরকে সাহায্য করেছেন। এতে তারা খুশী। সারা দেশে এমন সহায়তা পেলে ৃষকরা াতদের ধান ঘরে তুলতে পারবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুহিদুল ইসলাম মিলন, মেহেদী হাসান মোড়ল, ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু, জহির আব্বাস, মেহেদী হাসান রাসেল,আসাদুজ্জামান আসাদ,ইব্রাহিম মোড়ল,আরিফ মোড়ল,হাবিব মোড়ল,শেখ আব্দুল আহাদ, রাজা মিনা,ফরিদুল ইসলাম,জিহাদ শেখ, রহিম শেখ, রিপন মোড়ল,রেজওয়ান মোড়ল,নাজিম হোসেন ইমন, লিপু মোড়ল,আকাশসহ নেতৃবৃন্দ।