হোম অর্থ ও বাণিজ্য অস্থির মাংসের বাজার, দেশি মুরগির কেজি ৬৫০

অস্থির মাংসের বাজার, দেশি মুরগির কেজি ৬৫০

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 68 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

অস্থির হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। রাজধানীর বাজারে আবারও বাড়ছে গরু, খাসি ও মুরগির দাম। প্রতিকেজি দেশি মুরগির দাম ছাড়িয়েছে ৬৫০ টাকা। সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরবরাহ ঘাটতির কারণেই বাড়ছে মাংসের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর ও রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন থামছেই না। সবজি ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী প্রায় সব পণ্যের দাম। এর প্রভাবে বাজারে বাড়ছে মাংসের দামও। সপ্তাহ ব্যবধানে শুধু দেশি মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকার ওপরে। আর ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে মুরগির সরবরাহ অনেক কমে গেছে। এতে বাড়ছে দাম। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে মুরগির দাম। তা ছাড়া সরবরাহও কম। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের স্বদেশ মুরগির আড়তের বিক্রেতা জানান, বাজারে দেশি মুরগির সরবরাহ নেই বললেই চলে। যার ফলে সপ্তাহ ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজিতে।

তবে ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে মুরগির দাম। আর বাজারে কোনো দেশি মুরগি নেই। সংকর জাতের বিভিন্ন মুরগিকে দেশি মুরগি বলে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন,
মূলত মুরগির খাবার ও বাচ্চার দাম বাড়ার কারণে বাড়ছে মুরগির দাম। এ দাম নাগালে আনতে হলে মুরগির বাচ্চা, পোলট্রির খাবার ও আনুষঙ্গিক পণ্যের দাম কমাতে হবে। আর এ খাতকে সিন্ডিকেটমুক্ত করে ক্ষুদ্র খামারিদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে দেড় মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়।

মাংস বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের দাম খুব শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই। গরুর দাম বাড়ায় বাড়ছে মাংসের দামও। যারা কম দামে মাংস বিক্রি করেছে এতদিন, তারাও এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

সম্প্রতি গরুর মাংসের দাম ব্যবসায়ীদের ওপর ছেড়ে দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘খলিলসহ রাজধানীর আলোচিত তিন ব্যবসায়ী এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।’

এ ছাড়া বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন