হোম খুলনাবাগেরহাট সুন্দরবনের আগুন নোভাতে ঘটনাস্থলে ৫ বাহিনী, জোয়ারের অপেক্ষায় তারা

সুন্দরবনের আগুন নোভাতে ঘটনাস্থলে ৫ বাহিনী, জোয়ারের অপেক্ষায় তারা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 53 ভিউজ

মোংলা প্রতিনিধি :

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নেভাতে কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী- ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। শুরুতেই নৌ বাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি উঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেয়। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানিসরবরাহে বিলম্বে হচ্ছে।

ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ পরিচালক মামুন আহমেদ জানান, রবিবার (৫ মে) সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার সম্ভাবনা নাই বলেও জানান তিনি।

সুন্দরবনের আগুন নেভানোর কাজে বনরক্ষীদের পাশাপাশি অন্যরা কাজ করছে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, গতকাল নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে রবিবার (৫ মে) সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

আগুন ব্যাপক এলাকা ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলেও জানান বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।

এক প্রশ্নে ডিএফও কাজী নুরুল করিম বলেন, কী কারণে, কিভাবে এবং আগুন লেগেছে তার এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দেবেন এই কমিটি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন