হোম অন্যান্যলাইফস্টাইল গান শোনার অভ্যাসে সারবে যেসব কঠিন রোগ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

সঙ্গীতের জাদু কিংবা সুরের মূর্ছনা ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। মন জট জলদি ভালো করার পাশাপাশি উৎসবের আমেজ আনতে সংগীতের বিকল্প নেই। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, কঠিন রোগ সারানোর পথও হতে পারে এ সংগীত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ে প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গানের মাধ্যমে রোগ সারানোর পথও দেখাচ্ছে বিজ্ঞান।

অনেকেই শব্দদূষণ, কোলাহল, যানজটের ক্লান্তি এড়াতে হেডফোনে গান শুনতে থাকেন। এতে শুধু ক্ষণিকের বিনোদনই পাওয়া যায় না, রিল্যাক্সও অনুভব করা যায়।

রোগ সারানোর এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘মিউজিক থেরাপি’।  উন্নত দেশগুলোতে এই চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো।

​মিউজিক থেরাপি প্রসঙ্গে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানাচ্ছে, মিউজিক থেরাপিতে গান শোনা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, সুর তৈরির মতো বিষয়গুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এক্ষেত্রে রোগীর সংগীত সম্পর্কে কোনও জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না।

মন আর ব্রেনের ওপর গান বিরাট প্রভাব তৈরি করতে পারে। তাই মিউজিক থেরাপির ওপর চলছে নানা গবেষণা। অবসাদ, ভয়, দুশ্চিন্তা, নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে পারে মিউজিক থেরাপি।

শুধু তাই নয়, গান শোনার অভ্যাস ব্লাড প্রেশার ঠিক রাখে। স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ করে। ডিমেশিয়া বা স্মৃতিভ্রম রোগ সারাতে তাই মিউজিক থেরাপি ভালো কাজ করে।

সুরের জাদু কিন্তু আরও বিস্তৃত। আপনি জানলে অবাক হবেন আর্থ্রাইটিস সহ বিভিন্ন ব্যথায় কার্যকরী গান। এছাড়া স্নায়ুর দুর্বলতার কারণে পেশির টান দূর করতে কার্যকরী এই থেরাপি।

নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে, মানসিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে, কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে কিংবা অনুপ্রেরণা পেতে খুব দ্রুত কার্যকরী হয়ে ওঠে মিউজিক থেরাপি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন