অনলাইন ডেস্ক:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগটি দেয়া হয়।
কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিহারাধ্যক্ষ ইন্দ্রবংশ ভান্তে স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কুয়াকাটার কেরানীপাড়া সংলগ্ন এস এ ৫৩০নং খতিয়ানের ৫৩৭৪ নং দাগে ২-৪৪ একর জমি গত ০৭/১১/১৯৪৭ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ০৯ নং চুক্তিপত্র দলিলের মাধ্যমে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য কেরানীপাড়ার মগদের পক্ষে পাড়া মাদবর নোলাউ মগ বরাবরে হস্তান্তর করে। ভূমির দখল বুঝাইয়া দিলে দলিল মূলে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই জমির মালিক।
কিন্তু এস এ ৫৩৭৪ নং দাগের পূর্ব অংশে রাখাইন মার্কেট সংলগ্ন জমিতে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই কাজ বন্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশ দিয়ে আপত্তি জানান। নির্মাণ কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার পর হঠাৎ করে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গত শনিবার( ২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাবলিক টয়লেটটির ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করার জন্য কুয়াকাটা পৌরসভা এলাকায় অঢেল জমি থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করার বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বৌদ্ধ বিহারের পবিত্রতা রক্ষায় এ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করা প্রয়োজন। কাজটি বন্ধ করা না হলে বিহার কর্তৃপক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, শনিবার রাতে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলা হয়েছে। সকল পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কোথায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।