হোম ফিচার অপহরণ করে আড়াই মাস আটকে রেখে কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষণ!

মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ :

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক কিশোরীকে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের পর দেখা করতে গেলে অপহরণ করে আড়াই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত বৃদ্ধ মোঃ সমির মিয়া (৪৮) কুলিয়ারচর উপজেলার তাঁতার কান্দি গ্রামের মৃত মোঃ তারা মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।

রবিবার (৮ মার্চ) ধর্ষিতা কিশোরী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ওই লোকের সাথে রং নাম্বারে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের একপর্যায়ে দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ডে দেখা করতে গিয়ে সে দেখে ওই লোকটি তার বাবার বয়সী। সে সময় ধর্ষীতা ওই কিশোরী কথা না বলে চলে আসতে চাইলে তাকে রুমালে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে গাজীপুর সাইনবোর্ড এলাকার একটি বস্তিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখানে তাকে আড়াই মাস আটকে রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষককে সহযোগীতা করে তিনজন লোক।

কিশোরীর মা বলেন, আড়াই মাস আগে ফেব্রুয়ারী মাসের ১৭ তারিখ বিকাল ৩ টায় আমার মেয়ে যখন নিখোঁজ হয় তখন থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করি। মেয়েকে খোঁজার সামর্থ্য আমার ছিলো না। ঈদের আগে সমির মিয়া একা বাড়ি ফিরলে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ সমির মিয়াকে চাপ দিলে দুই- একদিন পরই মেয়ে ফিরে আসে। ঈদের পরদিন বুধবার মেয়ে ফিরে আসার পর তার সাথে হয়ে যাওয়া সব ঘটনা আমাকে খুলে বলে। তাকে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অসংখ্য চিহ্ন এখনো শরীরে রয়েছে। আমি ওদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এ ঘটনায় আজ ৮ মে রোববার কুলিয়ারচর থানায় ধর্ষীতা কিশোরীকে বাদী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং- ২।

এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহলের প্ররোচনায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।

এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনার বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন