পিরোজপুর অফিস :
বিক্রি হওয়া ১৮ দিনের সেই শিশুকন্যা ২দিন জিম্মায় থাকার পরে আদালতের আদেশে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের পরে বাবা পরিমল বেপারী ও মা কাজলা রানী শিশুকে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
আজ রোববার (২৩ জানুয়ারী) দুপুরে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পল্লবেশ্বর কুন্ডু এর আদালতের আদেশে শিশুকন্যাটিকে তার প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হাসান জানান, তারা শিশুকন্যাটিকে বৃহষ্পতিবারে উদ্ধারের পরে শুক্র-শনিবার তার পরিবারের কাছে জিম্মায় রেখেছিলাম। আজ রোববার আদালতের আদেশে শিশুকন্যাটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে আইনত হস্তান্তর করা হলে তারা শিশুটিকে নিয়ে বাড়িতে যান।
শিশুটির বাবা পরিমল জানান, অভাবের সুযোগ নিয়ে বিজন হালদার ও তার সহযোগী রনজিত মন্ডল তার ১৮ দিনের শিশু কন্যাকে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করেন। ফলে তিনি তার সন্তান টাকার জন্য বিক্রি করে দেন। এখন তারা তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার পরিমল পরিবার অভাবের কারনে একলাখ ৬৫ হাজার টাকায় তার সন্তান বিক্রি করেন। কিন্তু তাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকীটা ওই মধ্যস্থতাকারীরা আত্মসাত করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে।
এ ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন শিশু বিক্রির মধ্যস্থতারী ও ক্রেতা দম্পত্তির আত্মীয় আতা গ্রামের সুকুমার রায়ের স্ত্রী আরতী রানি ওরফে সন্ধ্যা রায়। ওই রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের কাছে জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল।