কিশোর কুমার, নিজস্ব প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারিকুজ্জামান ওরফে কনককে প্রায় ২০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রবিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের ১০০ ফিট এলাকা থেকে তারিকুজ্জামান ওরফে কনককে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম তথ্য নিশ্চিত করেন।কনক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
প্রসঙ্গত ,২০০১ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন। পথিমধ্যে কলারোয়া থানাধীন তুলশীডাঙ্গায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়।
তারিকুজ্জামান হামলার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় কলারোয়া থানা বিএনপির পার্টি অফিসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন। পার্টি অফিসে নেতাদের মাধ্যমে জানতে পারে শেখ হাসিনা কলারোয়া থানার তুলশীডাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাবেন।
খবর পেয়ে বিএনপির অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে তুলশীডাঙ্গায় মূল রোডে যায়। এরপর তারা একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে মূল সড়কে যানজটের সৃষ্টি করে। কিছুক্ষণের মধ্যে কলারোয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে এসে রাস্তার যানজট নিরসনের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বাসটি সরিয়ে ফেলে পুলিশ।
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার গাড়িবহর চলে আসে এবং যানজটে পড়ে। ওই সময় অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারিকুজ্জামানও গাড়িবহরে হামলা করে। এতে শেখ হাসিনাকে বহন করা গাড়িটি কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও তৎকালীন সাংসদ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের গাড়িসহ অন্যান্য গাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সহ সাংবাদিকরা আহত হন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা কলারোয়া থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। চলতি বছরের ৪ ফেব্রয়ারি সাতক্ষীরা জেলা জর্জ আদালতে বিচারক হুমায়ন কবির চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ৫০জনের কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেন। বর্তমানে এই মামলায় সাবেক সংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৩৭জন কারাগারে আছেন।