হোম অন্যান্যসারাদেশ করোনার মধ্যেও চলছে কলারোয়ায় কোচিং বানিজ্য ! সচেতন মহলের ক্ষোভ

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সারা দেশের ন্যায় কলারোয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধের নির্দেশ অমান্য করে কিছু অর্থলোভী শিক্ষক প্রাইভেট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব শিক্ষক তাঁদের বাসা অথবা ভাড়া করা কক্ষে ব্যাচ করে একসঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসিয়ে এ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবকরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানালেও অর্থলোভী শিক্ষকরা বিষয়টি গুরুত্বই দিচ্ছেন না। সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকা, পৌর সদরের তুলশিডাঙ্গা গোডাউন মোড় (পূর্বের জামাত অফিস) এলাকা, মুরারীকটি পালপাড়া(বটতলা মোড়) সংলগ্ন জনসেবা ক্লিনিকের পার্শ্ববর্তী স্থান,তুলশিডাঙ্গা ২নং ওয়ার্ডসহ উপজেলা বিভিন্ন স্থানে কলেজ শিক্ষকসহ স্কুলের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন যাবৎ সপ্তাহে শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ব্যাচ করে লকডাউনের সরকারী নির্দেশনাকে উপক্ষো করে কতিপয় শিক্ষক প্রকাশ্যেই প্রাইভেট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

কলারোয়া উপজেলার ৯টি কলেজসহ প্রায় ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে উপজেলা ব্যাপি বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাপ রয়েই গেছে। উপজেলা সদর থেকে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দূরে হওয়ায় প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে নির্ভয়ে শিক্ষকেরা প্রাইভেট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীরা জানান। এ ছাড়া পৌর সদরের বেশ কিছু এলাকায় সীমিত আকারে ও গোপনীয় পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিশেষ কৌশলে চলছে কতিপয় অর্থলোভী শিক্ষদের কোচিং বানিজ্য।

এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগের সুরে জানান, কোচিং বানিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। সরকারীভাবে প্রাইভেট ও কোচিং নিষিদ্ধ করার পর বেশ কিছুদিন তাঁরা পড়ানো বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি করোনা পজিটিভের শনাক্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন কলারোয়ায় গত সপ্তাহ থেকে ১৪ দিনের থাকা লকডাউনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে কতিপয় শিক্ষক আগের মতোই প্রায় প্রকাশ্যে প্রাইভেট বানিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।

আরও জানান, কোচিং সেন্টার বন্ধ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ি করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থী শঙ্কিত হয়ে জানান, বর্তমান সময়ে উপজেলা ব্যাপি করোনা সংক্রমনের যে প্রার্দুভাব তাতে প্রাইভেট শিক্ষাদানে যুক্ত শিক্ষকসহ সকলের মাক্স পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ইতোমধ্যে কয়েকজন প্রাইভেট স্যার অন লাইনে ক্লাস করা শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে, সরকারি বাসভবনে(আইসোলেশনে) চিকিৎসাধীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর সেল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। এ ব্যাপারে দ্রæত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন