আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবু হেনা সাকিলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে নাকতাড়া কালিবাড়ি বাজারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স. ম. মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবু হেনা সাকিল। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদকে সামনে রেখে শ্রীউলা ইউনিয়নে জামায়াত বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন, রাজাকার পুত্র জামায়াত নেতা আরিফ মোল্যার নেতৃত্বে।
শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি শক্তিশালী ঘাটি। এখানে বরাবরই আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বার বার নির্বাচিত হয়। এই ইউনিয়নকে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব শূন্য করতে জামায়াত বিএনপির অন্যতম নেতা আক্তার হোসেন ও তার দলবল আওয়ামীলীগকে উৎখ্যাত এর মহা পরিল্পনা করছে। প্রধান অথিতির বক্তব্যে আবু হেনা সাকিল বলেন, শ্রীউলা ইউনিয়নের গরীব দুঃখি অসহায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বার বার নির্বাচিত করে। আমাকে এবং আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য জামায়ত বিএনপির ষড়যন্ত্র কারীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে দৃষ্টিপাত সহ বিভিন্ন পত্রিকায় যে সংবাদ পরিবেশন করেছে তা আদৌও সত্য নয়।
আমি এ মিথ্যা তথ্য ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার এর দাবী জানাচ্ছি। বিগত ৫ জানুয়ারি ২০১৩-১৪ সালে সরকার বিরোধী আন্দলনে বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য আক্তার ও জামায়াত নেতা আরিফ মোল্যা প্রকাশ্য মদদে গাছকাটা, রাস্তাকাটা ও আগুন সন্ত্রাসীর মাধ্যমে এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করে। তিনি আরও বলেন মাড়িয়ালা মৌজায় ১ নং খাষ খতিয়ানে আমার মৎস্য ঘের ও বাড়ি নির্মান করেছি এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আমার পিতার রেকর্ডীয় জমিতে কোমল মতি ছাত্রছাত্রীদের বিনোদনের জন্য একটি মিনি পার্ক নির্মান করেছি। যা বর্তমান জরিপে রেকর্ড প্রস্তত হয়েছে। বাড়ির বিষয়ে তিনি বলেন ১৭২ দাগ ব্রিটিশ আমল থেকে একটি পরিত্যাক্ত রাজ পথ হিসেবে অসহায় সাধারন মানুষ ব্যবহার করছে। আমার বাড়িটি কোন খাষ জমিতে নয়। আমার পিতার রেকর্ডীয় জমিতে আমি বাড়ী নির্মান করেছি। আপন ভালো পাগলেও বোঝে। আমি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে খাষ জমিতে বাড়ি করবো এমনটাই তো হতে পারেনা। এটি আমার প্রতিপক্ষের মিথ্যা সাজানো একটি নাটক তৈরি করে আমার ভাব মূর্তি নষ্ট করার পায়তারা চলছে।
আমার পিতা শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়মীলীগের প্রতিষ্টাতা নেতা মরহুম আবু বক্কার সিদ্দীক সুনামের সহিত শ্রীউলা ইউনিয়নে ২৫ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি ও একাধারে ২৩ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার পারিবারি সামাজিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করার এবং সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে বিএনপির এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গভীর ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি ষড়যন্ত্র কারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক স. ম. মিজানুর রহমান ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলী, জি এম জালাল উদ্দীন, সংরক্ষিত ইউপি মেম্বর তহামিনা জোয়াদ্দার, দিপালী রানী মন্ডল, আওয়ালীগ নেতা আবু ছাইদ সরদার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বাবু সঞ্জয় মিশ্র আজিবার রহমান সহ আওয়ালীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।