জসিম উদ্দিন:
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন করার প্রস্তাবের প্রতিবাদ এবং চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষনা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম। এসময় জেলা জামায়েতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস আহমেদসহ সর্বদলীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, ২১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাটাখালি থেকে নওয়াপাড়া মহাসড়ক অবরোধ, ২৪ আগস্ট (রোববার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, ফকিরহাট, মোল্লাহাট সেতুতে, পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়েরক সাইনবোর্ড মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি এবং জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি। এছাড়া সোমবার একই সময়ে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন এটিএম আকরাম হোসেন তালিম।
এসময় আসন কমানোর এই প্রস্তাবকে প্রকল্পিত ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি এই প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসেন, তাহলে এত কঠিন আন্দোলন করা হবে। যার সামাল দেওয়ার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশন নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম চারটি আসন থেকে তিনটি আসন করা হলে জেলাবাসী নানাভাবে বঞ্চিত হবে। নির্বাচন কমিশন যদি চারটি আসন বহাল রাখার ঘোষণা না দেয়, তাহলে বাগেরহাটকে বিচ্ছিন্ন কর দেওয়ার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুসে ওঠে।