অনলাইন ডেস্ক:
বগুড়ায় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে মাহাদী হাসান নামে চার বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার চারমাথার ধমকপাড়ায় প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার বাড়ি থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। লাশের পাশে মুক্তিপণ দাবির একটা চিরকুট পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয়রা তাহমিনা খাতুন (৩৫) নামে একজনকে আটক করে পিটুনি দিয়েছেন।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এ কে এম মঈন উদ্দিন, চাচা জাহিদুল ইসলাম ও স্বজনরা জানান, শিশু মাহাদী হাসান বগুড়া সদরের চারমাথা ধমকপাড়ার হোটেল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ছেলে। চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে তার খাবার হোটেল রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শিশু সন্তান বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। এ বিষয়ে তিনি সদর থানায় জিডি করেন। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী রতনের বাড়ির ভাড়াটিয়া তাহমিনা খাতুন একটি বস্তার পাশে পায়চারী করছিলেন। ঘটনাটি বাড়ির মালিক রতনের সন্দেহ হলে তিনি এলাকাবাসীকে জানান।
তখন ওই নারীর বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি শিশু মাহাদীর লাশ পাওয়া যায়। লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যাতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির কথা লেখা রয়েছে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা শিশু মাহাদীকে হত্যা ও বস্তায় লাশ গুমে জড়িত সন্দেহে তাহমিনা খাতুনকে আটক করে মারধর করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার ও নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তাহমিনা খাতুন বগুড়ার শিবগঞ্জের জানগ্রামের আনিস মন্ডলের দ্বিতীয় স্ত্রী। তারা ওই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণ না পেয়েই শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য বস্তায় ঢোকায়। পরে সুবিধামতো সময় ও স্থানে গুম করা হতো।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন জানান, মারধরে আহত ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লাশের পাশে পাওয়া চিরকুট ওই নারীর হাতের লেখা কি না তা যাচাই করতে সিআইডি বিশেষজ্ঞের কাছে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।