হোম খুলনাযশোর কেশবপুরে তীব্র তাপদাহে ভয়াবহ লোডশেডিং: বিদ্যুৎ বিল উঠছে লাগামহীন, গ্রাহক অসন্তোষ চরমে

জয়দেব চক্রবর্তী , কেশবপুর (যশোর):

যশোরের কেশবপুরে তীব্র তাপদাহে কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

কেশবপুর শহরের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, একদিকে তীব্র তাপদহন তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলে লোডশেডিং। ব্যবসা পরিচালনা করা দুরুহ হয়ে পড়ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং চলে। অথচ বিদ্যুৎ বিলে যেনো ভুতের আসর করেছে। অতিরিক্ত বিল উঠছে।

স্থানীয় বিদ্যৎ অফিস সূত্র জানায়, কেশবপুর উপজেলায় প্রায় ৯০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৪ মেগাওয়াট। ফলে রাত দিন ২৪ ঘটার মধ্য মাত্র ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাছে গ্রাহকরা। আর লোডশেডিং থাকছে প্রায় ১৮ ঘন্টা । এদিকে ওই ৯০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে কৃষকের বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ রয়েছে প্রায় ১ হাজর ১০০ টি।

কেশবপুর উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় থাকলেও বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং ও গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপদাহে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা।

কেশবপুর উপজেলায় দিন ও রাত ২৪ ঘন্টায় ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলে গ্রাহকেরা জানান। গ্রাহকরা আরও বলেন, এদিকে ঠিক মতো বিদ্যুৎ থাকছে না। অথচ একটু বিল বাকী পড়লেই তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। আবার সংযোগ নিতে গেলে জরিমানার টাকা না দিলে সংযোগ হয় না।

এদিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও নিরবিছিন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারনে এ উপজেলার বিভিন গ্রামে বিদেশী গরু ও ব্রয়লার মুরগী হিট স্টোকে মারা যাচ্ছে বলে জানান। তাদের খামারে সব সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন রাখতে বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করে থাকেন। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে খামারের গরু ও ব্রয়লার মুরগী খামারীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীনে রয়েছে বলে জানান। এছাড়া তীব্র তাপদাহর কারণে এলাকার পুকুর ও মৎস্য ঘরের পানি অতিরিক্ত গরম হয়ে মাছ মরে ভেসে উঠছে। ফলে লাকসানের আশংকা করছেন মৎস্য ও খামার ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বলছে, ৩৩ কেভি ও নওয়াপাড়ার লাইনে সমস্যা হয়েছে। আবার বলে যশোরের মূল অফিসের সমস্যা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায় চলে আসবে আশা করা যাচ্ছে।

কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম এস শাহীন আহসান বলেন, যশোরের মূল অফিসের সমস্যা হয়েছে। যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ১৪ মেগাওয়াড।

কেশবপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ এর এলাকা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেন,প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকদের তীব্র ক্ষোভ সহ বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টস ছড়িয়ে পড়ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন