নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে রোগাক্রান্ত মৃত প্রায় গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে এক প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় জব্দ করা হয়েছে ১৬০ কেজি মাংস। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১জুন) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের জিরণগাছা বাজারে। তবে, এসময় ভাই ভাই মাংসের দোকানের মালিক আমিরুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে সক্ষম হননি ভ্রাম্যমান আদালতের সদস্যরা। মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জব্দকৃত মাংস গুলো পরে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গাজী ফারুক হোসেন ও আব্দুস সালাম জানান, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামের মরহুম দেলবার সরদারের ছেলে মুনসুর আলী (৫৫), সহিল উদ্দীন ওরফে সলু কসাইয়ের ছেলে মোজারুল ইসলাম (৩৬) ও কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মরহুম সোহরাব সরদারের ছেলে মিলন (৩৪) দীর্ঘদিন যাবত জিরণগাছা বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছেন।
তারা আরো জানান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেজুয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত একটা মৃতপ্রায় গরু মাত্র ৯ হাজার টাকায় ক্রয় করে মাংস ব্যবসায়ী মুনসুর আলী। ভোরে ওই মৃত প্রায় গরুটি জবাই করে জিরণগাছা বাজারে এনে দেশী এড়ে গরুর মাংস হিসেবে প্রচার দিয়ে তা বিক্রি করতে থাকে উক্ত তিন মংস ব্যবসায়ী। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ভাই ভাই মাংসের দোকান ঘেরাও করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এসময় সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় বিতর্কিত তিন মাংস ব্যবসায়ী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী। তিনি এ সময় প্রায় ১৬০ কেজি মাংস জব্দ করে তা কেরোসিন মিশিয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপর মাংসের দোকান সিলগালাসহ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় মাংস বিক্রিতে ব্যবহৃত পাকা চাতাল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।