আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিমাদের ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর হুমকির পর কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এতে সরাসরি কোনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না, বরং যুদ্ধক্ষেত্রে কিভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা যায় তার অনুশীলন করা হবে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সংঘাতে সরাসরি সেনা না পাঠালেও শুরু থেকেই সব ধরনের সহযোগিতা (আর্থিক, সামরিক ও রাজনৈতিক) দিয়ে আসছে পশ্চিমারা। ইউক্রেনের পরাজয়ের মুখে এখন সরাসরি দেশটিতে সেনা পাঠানোর কথা বলছেন পশ্চিমা নেতারা।
পশ্চিমা এই হুমকির প্রেক্ষিতে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিলো রাশিয়া। সোমবার (৬ মে) রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন বলেছে, পশ্চিমা নেতাদের অব্যাহত উসকানিমূলক হুমকির জবাবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সামরিক মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, রাশিয়ার এ সামরিক মহড়ায় কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুশীলন করা হবে। রুশ সেনাবাহিনীর সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ক্ষেপণাস্ত্র দল ও নৌবাহিনী এই মহড়ায় অংশ নেবে। মহড়াটি ‘অদূর ভবিষ্যতে’অনুষ্ঠিত হবে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার উসকানিমূলক বিবৃতি ও হুমকির জবাবে রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই এই মহড়ার লক্ষ্য।
২০২৩ সালে রাশিয়া সমন্বিত পরমাণু পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তির অনুমোদন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। একই সঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কার্যকর অস্ত্র হ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর রুশ নেতারা প্রায়ই পরমাণু অস্ত্র হামলার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন।