অনলাইন ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩ নারীর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে নৌ-থানার পুলিশ। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়ে।
রোববার (২৪ মার্চ) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিওটিএ) ডুবরি দল তৃতীয় দিনের মতো নিখোঁজ ছয় জনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে নামে।
৩ নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর সবশেষ তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা তিন। তাদের উদ্ধার করতে তৎপরতা চালাচ্ছে ডুবুরি দল।
এর আগে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. এনাম হক জানান, আমরা দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান শুরু করেছি। নিখোঁজদের সবার খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
অপরদিকে ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপপরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, উদ্ধারকারী নৌ-যান প্রত্যয়ের কমান্ডার উবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি ডুবরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। নিখোঁজ নৌযান এবং ব্যক্তিদের না পাওয়া পর্যন্ত নদীতে এই অভিযান চলবে।
এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীর রেলসেতু এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে ভ্রমণে বের হন ২১ জন যাত্রী। কিছুদূর যেতেই এক যাত্রীর অনুরোধে মাঝি হাল ছেড়ে ছবি তুলতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠে। পরে খবর পেয়ে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্পিড বোটে এসে এক নারীর মরদেহসহ আট জনকে উদ্ধার করে।