রাজনীতি ডেস্ক:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মাহে রমজানের শিক্ষা নিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে হবে।
রোববার (১৭ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ষষ্ঠ দিনের আলোচনায় বক্তৃতা করেন তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, রমজান কোরআন নাজিলের মাস। কোরআন নাজিলের কারণেই এ মাসের এত মাহাত্ম্য। মানব জীবনের সফলতা ফিরে পেতে হলে তাকওয়াপূর্ণ সমাজ গঠন করতে হবে। আল্লাহভিরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। মাহে রমাজন সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানবজাতিকে আল্লাহর রঙে রঙিন হয়ে মানবকল্যাণে ব্রত হওয়ার শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এ মহান মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহরাশি মাফ করিয়ে আল্লাহর নিকটবর্তী বান্দা হতে পারেনি, রমজান তার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
চরমোনাই পীর বলেন, রমজান এলেই একশ্রেণির মানুষ রজমানের প্রতি অসম্মান করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। এরা মানুষকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেয়, মজুতদারি করে কষ্ট দেয়, ইফতারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইমানদার মানুষকে কষ্ট দেয়। ইফতারের আগে রোজাদার নিরীহ ছাত্রদের রক্তাক্ত করে কষ্ট দেয়। মনে রাখবেন এরা অচিরেই আল্লাহর গজবে পতিত হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য, যারা রোজাদার মানুষকে যেভাবেই হোক কষ্ট দেয়, তারা আল্লাহর আজাব-গজবের অপেক্ষায় আছে।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, রমজান এমন এক মাস যে মাসে খাবারের কোনো হিসাব নেই। অনেক মানুষ রমজান এলে মিতব্যয়িতার ভান ধরে ইফতারের বরাদ্দ বাতিল করে, এরা ইসলাম ও মানবতার দুশমন। অথচ দেশের সম্পদ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে, বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংকে সোনা রাখলে রুপা হয়ে যায়। সেদিকে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন শিক্ষার আসর করলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে এরা মুসলমান নামের পশু। ঢাবিতে আরবি বিভাগ আছে, সেখানে আরবিচর্চা হলে সমস্যা কোথায়? মুসলমানের দানকৃত জায়গায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেলিন, কালমার্কসসহ অন্যান্য ধর্মচর্চা হতে পারলে কোরআনচর্চায় অসুবিধা কোথায়?
তিনি বলেন, ঢাবিতে কোরআনের ক্লাস নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তাদের থামান। অন্যথায় ধৈর্যের সীমা আছে, ইসলামচর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ইমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না।
নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি জিয়াউল করীম প্রমুখ বয়ান করেন।