নড়াইল অফিস:
“আমি আপনাদের সন্তান, নড়াইলে আমি ভেসে আসিনি, রাজনীতি থেকে আমার কিছু পাওয়ার ও নেই, আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে কেবলমাত্র আপনার সন্তানের ভবিষ্যত গড়তে নিজের আরামের জীবন ত্যাগ করে এত কষ্ট করছি” ৭ তারিখে বাকিটা আপনারা করবেন, ৮ তারিখ থেকে আমি আপনাদের দায়িত্ব নিব।
নড়াইলে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন নড়াইল-০২ আসনের আ.লীগ প্রার্থী মাশরাফি। ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) লোহাগড়ার পাচুড়িয়া গ্রামে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,“আমার যা আছে তাই দিয়ে আমি আরামে দিন কাটাতে পারি কিন্ত আমি আমার পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটাতে চাই না,আমি মনে করি এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য আমার দ্বায়বদ্ধতা আছে। কারো মিষ্টি কথায় আপনার ভুল করবেন না,তাহলে এইসব ছেলেমেয়েদের ভবিষৎ নষ্ট হয়ে যাবে,নড়াইল ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে”।
শনিবার সকাল থেকে লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ও মল্লিকপুর ইউনিয়নে ১০টির ও অধিক পথসভায় যোগ দেন দেশসেরা ক্যাপ্টেন মাশরাফি। লোহাগড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মুন্সি সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
মধুমতি নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা মঙ্গলহাটা,করফার পথসভায় তিনি বলেন,এই এলাকায় যে নদীভাঙ্গন হয় সেটাই মন্ত্রনালয় জানে না,এখানে ২৭ টি ভাঙ্গল কবলিত এলাকা আছে। ৫০ বছরের সমস্যা আমার ঘাটে এসে পড়েছে। আমি মন্ত্রনালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি,অনেকটা ভিক্ষার মতো করে প্রকল্প চেয়ে এনেছি। আরো অনেক কাজ বাকি। ৭ তারিখ আমাকে দেন আমি ৮ তারিখ থেকে আপনাদের সব দেবো”।
পথসভায় নানা মানুষের কথা আর আবদার শোনের মাশরাফি। মল্লিকপুর ইউনিয়নে নানা অসুন্থ মানুষকে সরাসরি দেখে সহায়তা করেন।
২৪ ডিসেম্বর নড়াইলে পৌছানোর পরপরই নিরলসভাবে প্রচারনা চালাচ্ছেন ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক। তিনি নড়াইল-০২ আসনের ২য় বারের মতো নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এই আসনের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু মনোয়নয় ফেরত পেয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। স্থানীয় ভোটারদের ধারনা এবারের নির্বাচনে মাশরাফির সাথে প্রতিদ্বন্দিতায় আসবেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী। এছাড়া নড়াইল-০২ আসনে জাতীয়পার্টি,ওয়াকার্স পার্টি,এনপিপি,ইসলামী ঐক্যজোট,গনফ্রন্ট সহ মোট ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।