হোম খুলনাঝিনাইদহ প্রানী সম্পদ অফিস ঠিক করে দিল মিস্ত্রি : বরাদ্দের টাকা নয় ছয়

শিপলু জামান, ঝিনাইদহ :

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের আওয়াতাধীন “প্রাণীসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প” (এলডিডিপি) কর্তৃক পরিচালিত দুইটি ছাগলের পিজি সদস্যদের মাঝে ঘর নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে।ইতিমধ্যে পৌর এলাকার পাইকপাড়া গ্রামের পিজি সদস্যদের একটি ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি ঘরের জন্য ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ।প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী সদস্যদের নিজ তত্তাবধানে ঘর নির্মান করার কথা থাকলেও পাইকপাড়া পিজিতে তা করতে দেওয়া হয়নি।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল করিম কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তিকে দিয়ে ঘর নির্মানের কাজ করা হয়েছে।আর প্রতিটি ঘর নির্মানের জন্য বরাদ্দের সম্পূর্ন অর্থ প্রকল্পের দায়িক্তরত কর্মকর্তা প্রত্যেকের নিকট থেকে সম্পূর্ন টাকা সংগ্রহ করে নেন। এতে করে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দের পুরো অর্থ ব্যয় না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।২৫ শে নভেম্বর বিভিন্ন গনমাধ্যমে ছাগলের ঘর নির্মানে অনিয়ম ও বরাদ্দের সম্পূর্ন অর্থ ব্যয় না করার সংবাদ প্রকাশিত হয়।

উক্ত সংবাদের পরিপেক্ষিতে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্ত করার কথা উল্লেখ করে প্রতিবাদ দেন। বস্তুত সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে অনিয়মের ব্যাপারে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা রেজাউল করিম অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে প্রতিবাদ দেন। পূর্ব বলিদাপাড়া ও খামারমুন্দিয়া গ্রামে ২ টি মুরগীর পিজির ঘর নির্মানও এভাবে করেছিলেন প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা।

পাইকপাড়া ছাগলের পিজির সভানেত্রী মর্জিনা বেগম প্রতিবেদককে বলেন,ঘর নির্মানের বরাদ্দের সম্পূর্ন টাকাই সব সদস্য অফিসের লোকের হাতে তুলে দেয়। স্যারেরা মিস্ত্রী ঠিক করে দিয়েছিলো।ঘর নির্মানে সব টাকা না লাগলেও তারা ব্যয় দেখাচ্ছে।এসব ব্যাপারে বুঝে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।কিছু বলতে গেলে আগামীতে আর কোনো সুযোগ সুবিধা দেবেনা বলে জানায়।গত দুইমাসে পিজির ট্রেনিং ও মিটিং না হলেও আমাদের দিয়ে সাক্ষর করিয়ে নিয়েছে।সরকারি সুবিধা যতটুকু পায় তাই লাভ।

জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত কুমার ব্যানার্জী বলেন,ইতিমধ্যে ছাগলের ঘর নির্মান নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমি ও আমার উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান রয়েছে। প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন