হোম রাজনীতি তপশিল ঘোষণার পর আ.লীগ এখন মহাবিপদে : ১২ দলীয় জোট

রাজনীতি ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের আতঙ্কিত নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি দিতে পাতানো নির্বাচন খেলায় মেতেছে শেখ হাসিনা সরকার এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তপশিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ মহাবিপদে পড়েছে। দেশী-বিদেশী প্রচণ্ড চাপে তারা এখন দেউলিয়া লীগে পরিণত হয়েছে। তাই মনোনয়ন বাণিজ্য শেষ হলেই আওয়ামী লীগ নির্বাচন পিছাবে। কারণ, এই নির্বাচন মূলত আওয়ামী লীগের ভোটের উদ্দেশ্যে নয়! এই নির্বাচন আমেরিকার স্যাংশন আতঙ্কে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার নির্বাচন।

আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগরে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সমর্থনে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয় নগর এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের চারদিকে দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস শুনতে পাচ্ছি। নিত্যপণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষের চাপা কান্না সহ্য করা যাচ্ছে না। মানুষ অনাহারে -অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে আর সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি ভূয়া নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে।

জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, দেশের জনগণকে জিম্মি করে সরকার নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকাদের দিয়ে নির্বাচনের নগ্ন খেলায় মেতেছে। এই সরকার বিদেশীদের হাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। সম্প্রতি দুই-একটি দেশের কূটনৈতিক বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক।

জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তফসিল বাতিল করতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না, আমরা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সুশাসন ও টেকসই উন্নয়ন চাই।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্য জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস রেজা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) হান্নান আহমেদ খান বাবলু, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, জমিয়তে ইসলামের মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, যুব জমিয়তের মুফতী কামরুজ্জামান কাসেমী, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন ,ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমূখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন