রাজনীতি ডেস্ক:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয় বাংলাদেশে এমন কারো রাজনীতি করার অধিকার নেই। আজ ০৮ নভেম্বর, (বুধবার) বিএনপি-জামাতের অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা। সঞ্চালনা করেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, শেখ হাসিনার আদর্শের কর্মী হিসেবে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে, সাধারণ মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ অবরোধের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা। যে দিন বিএনপি-জামাত এই অবৈধ অবরোধের ডাক দিয়েছে তার পর থেকে আমরা এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি। বিএনপি শুধু অবৈধ সংগঠনই না, তার উৎপত্তিই হয়েছে হত্যা, ক্যু এবং বিভিন্ন ন্যাক্কারজনক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এরা কোন প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন না, এদের মূল উদ্দেশ্যই এদেশের জনগণের ক্ষতিসাধণ করা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা দেখেছি জামাত, আল বদর, আল শামস, রাজাকারদের তারা কি ভূমিকা রেখেছে এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে, তাদের অবস্থান আমরা জানি। ১৯৭৮ সালে বিএনপির সৃষ্টির পর থেকে আমরা দেখে আসছি তারা হত্যা, গুম, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে এদেশের জনগণকে ভিকটিম বানায়, জনগণকে তাদের হত্যা নৈরাজ্যের শিকার বানায়। এগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের কাছে পরাজিত হওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার মত ঘটনা। তারা সেটাই করে আসছে। আজকেও দেখতেছেন তারা কিভাবে সাধারণ মানুষের জানমালের ধ্বংস সাধণ করছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করে তাদের জীবনকে ঝুকির সম্মুখিন করছে। যারা জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করে তারা তো নিশ্চয় জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যেতে চায় না। তাদের মূল কাজ হচ্ছে জনগণের ওপর চড়াও হওয়া এবং আগামীর নির্বাচনকে বানচাল করা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন ভিত্তি, কোন শক্তি তাদের নাই। তারা এটা উপলব্ধি করেছে গত দুইটি সংসদ নির্বাচনে। তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং জনগণের ওপর আস্থা না রেখে তা বর্জনও করেছেন। এতে বোঝা যায় জাতীয় সংসদের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই, এদেশের জনগণের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই, গণতন্ত্রের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই। তিনি আরও বলেন, আজকে তারা খোলাখুলিভাবে একটি জঙ্গি সংগঠন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আর্বিভুত হয়েছে।
শেখ পরশ বলেন, আমরা বার বার দাবি তুলছি এই সন্ত্রাসী সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ তারা জনগণের শত্রু, তারা কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি করে। যে দেশ স্বাধীন হয়েছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেই দেশের ধ্যান-ধারণা-চেতনার পরিপন্থি কাজ করে এবং ধ্যান-ধারণা-চেতনায় বিশ্বাস করে না সে সংগঠন, সেই সংগঠনের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। তারা যে এতো বছর এদেশে রাজনীতি করেছে, ২ বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসছিল, এটাই তো আমি মনে করি বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও সহনশীলতা।
তিনি বলেন, গতকালকে ৭ নভেম্বর ছিল, ঐ দিনে কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমানকে বাঁচিয়ে ছিল। সেই কর্নেল তাহেরকেই জিয়াউর রহমান হত্যা করেছিল। শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছি জিয়াউর রহমান। সুতরাং জিয়াউর রহমানের চরিত্র এদশের জনগণ জানে। সে নিজে একজন খুনি তার পুত্রও একজন খুনি। সেই খুনি পুত্র বিদেশ থেকে জঙ্গি নেতার মতো মোবাইলে নির্দেশনা দিয়ে জনগণের ওপর তাদের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে ধ্বংসলীলা সৃষ্টি করছে। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় তারা গণতন্ত্র মনা নয়, তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। তারা জবর দস্ত করে এদেশের জনগণকে শাসন-শোষণ, অত্যাচার করতে চায়। সুতরাং এই সকল অপশক্তিকে যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার জন্যই আজকে আমরা রাজপথে আছি। তারা অবরোধ ডাকলে এদেশের জনগণ নিরাপদ নয়, সুতরাং জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের পাশে দাড়ানো রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এদেশে যতটা অগ্রগতি ও উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই হয়েছে।