হোম রাজনীতি ফখরুল ও আমাকে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল, আদালতকে মির্জা আব্বাস

রাজনীতি ডেস্ক:

কারাগারে বিএনপির সিনিয়র নেতারা কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান না বলে আদালতকে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রোববার (৫ নভেম্বর) সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মির্জা আব্বাসকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আইনজীবী কারাগারে তার ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানির একপর্যায়ে বিচারককে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা আব্বাস আদালতে বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে পল্টন থানার এক মামলায় গ্রেফতার করে যখন কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখন আমাকে ও ফখরুলকে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল। এবার গ্রেফতারের পর আমাকে ফ্লোরে রাখা হচ্ছে। এবার তো হেঁটে এসেছি, পরের বার হয়তো হুইলচেয়ারে আসতে হবে।’

এ সময় বিচারক বলেন, ‘আমরাতো হাইকোর্টের মতো সরাসরি আদেশ দিতে পারি না। আপনারা আবেদন করেছেন, তা আমি দেখব।’

একপর্যায়ে বিচারক মির্জা আব্বাসের আইনজীবীকে বলেন, ‘উনার কি আর কোনো মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে?’ এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘না, চাওয়া হয়নি।’

বিচারক আবারও বলেন, ‘আজ আদেশ কী হয় দেখেন। না হলে ৮ নভেম্বর মামলার ধার্য তারিখে এ বিষয়ে শুনব।’

গত ৩১ অক্টোবর এই মামলায় মির্জা আব্বাসের সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে ২ নভেম্বর যুক্তি-তর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে তিনি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার থাকায় পরে তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রমনা থানায় মামলা করে। ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই বছরের ১৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু মির্জা আব্বাসের চার্জ গঠন বহাল রাখেন। পরে মির্জা আব্বাস লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। রিভিউ আবেদন করলে এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন