রাজনীতি ডেস্ক:
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
রাত ৭টা ৪২ মিনিটে ডিবি অফিস থেকে মির্জা ফখরুলকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ডিবি সদস্যরা। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এদিকে ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করবেন বলে জানিয়েন তার আইনজীবী।
এর আগে, সকালে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়। তাকে আটক করার পর রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসুস্থ একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
এর আগে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।