হোম রংপুরদিনাজপুর পেঁয়াজের দাম যখন আকাশচুম্বী পিঁয়াজুর দাম তখন এক টাকা

অনলাইন ডেস্ক:

পেঁয়াজে দাম যখন আকাশচুম্বী তখনি গরম গরম পিঁয়াজু প্রতি পিস মাত্র এক টাকায়। শুনতে অবাক মনে হলেও গত ৩০ বছর ধরে এমন সুস্বাদু পিঁয়াজু বিক্রি করছেন আবুল কালাম। আর তা দিয়ে সংসার চলছে কালামের।

দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্তবর্তী কাটলা বাজারে মসজিদের গেইটের সামনে চোখে পড়বে কালামের ছোট এই দোকান।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আবুল কালামের পেঁয়াজুর দোকানে গিয়ে দেখা যায় অনেক ব্যস্ত আবুল কালাম।প্রতিদিন যোহরের নামাজ বাজারে মসজিদে আদায় করার পর পিঁয়াজু তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।তাকে সহযোগিতা করেন তার ছোট জামাই।

এমন ব্যস্ততার মাঝেও সময় সংবাদের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় পিঁয়াজু বিক্রেতা আবুল কালামের। জানতে চাওয়া হয় তিনি কতদিন থেকে এমন এক টাকার পিঁয়াজু বিক্রি করে আসছেন।

আবুল কালাম বলেন, সীমান্ত এলাকায় জন্মেছি। অভাব অনটনের সংসার ছোটবেলা থেকে আমি একটি হোটেল রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। প্রতিদিন যা পেতাম তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলত। রেস্তোরাঁটি ১৯৯৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়।

‘এরপর অর্থের অভাবে তেমন কিছু করতে না পারলেও স্ত্রীর পরামর্শে কাটলা বাজারে পিঁয়াজু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই। শুরু করেছিলাম এক টাকার পিঁয়াজু দিয়ে। আজ ৩০ বছর ধরেই এক টাকার পিঁয়াজু বিক্রি করছি। আগে যেমন লাভ হতো এখন তেমন লাভ হয় না।’

তিনি বলেন, পিঁয়াজু বিক্রি করে দুই মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে বিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অনেক বেশি। আগে যেমন লাভ হতো এখন তেমন লাভ হয়না। তবুও কোনো মতে চলছে সংসার।

প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পিঁয়াজুর দোকানে অনেকটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পিঁয়াজু কড়াই থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়।

পিঁয়াজু খেতে আশা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে মোসলেম উদ্দিন নামে এক যুবক বলেন, প্রতিদিন আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে আবুল কালামের দোকানে পিঁয়াজু খাই। দাম এক টাকা হলেও মান অনেক ভালো।

আবুল কালামের ছোট জামাই জানান, আমার শ্বশুর প্রতিদিন পিঁয়াজুর দোকান করে। আমি প্রতিদিন শ্বশুরকে সহযোগিতা করি। একটা লোক রাখতে গেলে তাকে তো টাকা দিতে হবে। সেই টাকা তো তার লাভ হয় না।

প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন-চার ঘণ্টার এ দোকানে ১২০০ থেকে ১৫০০ পিস পিঁয়াজু বিক্রি হয়ে থাকে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন