খুলনা অফিস /মোংলা প্রতিনিধি :
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মোংলা বন্দরের উন্নয়নের বিপক্ষ শক্তিকে প্রতিহত করা হবে।বন্দরের সকল ক্ষতির কারণ শাহাবুদ্দিন ও মানিক গ্যাং।এদেরকে মোংলা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল,এখনও বিতাড়িত। শুধুমাত্র তারা ভদ্রভাবে চলবে বলেই এখানে তাদের থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তাদের বিগত দিনের যে কার্যক্রম তা সাধারণ শ্রমিকদের বিপক্ষে, মোংলার বিপক্ষে, উন্নয়নের বিপক্ষে। কিন্তু বর্তমান যে বন্দর চেয়ারম্যান আছেন তিনি নাকি তাদের ইন্ধন দিচ্ছেন। এছাড়া শ্রম অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বর্তমান যে শ্রমিক ইউনিয়ন আছে এটিই বৈধ। আগের যে ইউনিয়ন সেটি অবৈধ। তিনি আরো বলেন, আমি পরিস্কার করে বলতে চাই মোংলার স্বার্থে এখানে যে চেয়ারম্যানই আসুক না কেন এই সকল দুর্বৃত্তদের পুনর্বাসন করার জন্য চেষ্টা করে তিনিই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এবং এতে মোংলার উন্নয়ন ব্যাহত হবে। যেভাবে আমরা ইতোমধ্যে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি সেইভাবেই মোংলা চলবে। এই সমস্ত দুর্বৃত্তদের যেই প্রশয় দিবে তার বিরুদ্ধে আমরা সমস্ত উন্নয়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিবো। মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যানকে বলবো, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর থেকে এখানে একটা সুন্দর পরিবেশ আছে। সেই পরিবেশ নষ্ট হলে তিনি কোনভাবেই এখানে চেয়ারম্যান থাকতে পারবেন না।
শুক্রবার সকালে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ চত্বরে আমেরিকা প্রবাসী দীপংকর মৃধার পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি করোনা ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ এবং কর্মহীন প্রায় সাড়ে ৪শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এরপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পৌর শহরের ১ নম্বর জেটিতে জার্মান প্রবাসী সাঈদ শাকিল এবং ’কামরান এন্ড নেটওয়ার্ক’র আর্থিক সহযোগিতায় পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কাইনমারি ও কানাইনগর গ্রামের ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদাণ করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট