পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ফিতা কেটে বিশেষ ট্রেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এরপর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে বিশেষ ট্রেনটি চলতে শুরু করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক এ বিশেষ ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ হলো। এর মধ্য দিয়ে পূরণ হলো দুই পাড়ের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন।
উদ্বোধনের পর বিশেষ বগিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে যাত্রা করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল একেএকম রেজাউল মজিদ, ডেপুটি সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদ আহমেদসহ ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার প্রমুখ।
গত বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর রেললাইনের সর্বশেষ ৭ মিটার কংক্রিটের ঢালাই সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণ শেষ হয়েছে। ৭ মিটার কংক্রিট ঢালাই সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এই ৪২ কিলোমিটার রেলপথ দিয়ে ৫টি বগি বিশিষ্ট বিশেষ ট্রেনটি চলাচল শুরু করল। এছাড়াও গত বছরের ১ নভেম্বর ভাঙ্গা স্টেশন থেকে জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছিল।
সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা-যশোরের পুরো কাজের অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হলো চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কর্তৃপক্ষ রেললাইন সবার জন্য উন্মুক্ত করার আশা প্রকাশ করেছে।