হোম অন্যান্যসারাদেশ দেবহাটায় রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে অবাধে অপদ্রব্য পুশ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

দেবহাটায় রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে অবাধে অপদ্রব্য পুশ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 168 ভিউজ

মাহমুদুল হাসান শাওন, দেবহাটা:

সাদা সোনা খ্যাত সাতক্ষীরার রপ্তানীযোগ্য গলদা ও বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের ঘটনা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের।

অপদ্রব্য পুশ বন্ধে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হলেও, বেশিরভাগ সময়ে অপদ্রব্য পুশকৃত গলদা ও বাগদা চিংড়ির চালান পশাসনের নাগাল টপকে রপ্তানী হচ্ছে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

এতে করে দিনদিন বিশ^বাজারে সুনাম ও ঐতিহ্য হারাচ্ছে সাতক্ষীরার চিংড়ি, মাঝেমধ্যে রপ্তানীতে পড়ছে নিষেধাজ্ঞা;ব্যাপক হারে হচ্ছে দরপতন। জেলার অন্যান্য উপজেলার মতো দেবহাটাতেও বেশ সক্রিয় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

সিরিঞ্জ ও সুঁইয়ের মাধ্যমে রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে জেলি, সাগুদানা, ফিটকিরি’র মিশ্রন, পানিতে ভেজানো চিড়া ও ভাতের মিশ্রন ইনজেক্ট করে চিংড়ির ওজন ও সাইজ বৃদ্ধি করে গ্রেড অনুসারে চড়া দামে বিক্রি ও রপ্তানী করে মোটা টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

ফলে বিশ^বাজারের পাশাপাশি দেশীয় বাজারেও প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা।
সম্প্রতি পারুলিয়া চিংড়ি বনিক সমিতির নের্তৃবৃন্দ রপ্তানীযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। অপদ্রব্য পুশকালে কোন অসাধু ব্যবসায়ী হাতেনাতে আটক হলে জরিমানার পাশাপাশি তাদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন সংশ্লিস্টরা। গেল এক সপ্তাহে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করা হয়েছে।

তাদের তৎপরতায় বর্তমানে পারুলিয়াতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।
পারুলিয়াতে অপদ্রব্য পুশ প্রায় বন্ধ হওয়ায়, অসাধু ব্যবসায়ীরা বর্তমানে আশপাশের এলাকা গুলোতে রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের আস্তানা গেড়েছেন।

এতে করে পারুলিয়া চিংড়ি বণিক সমিতির পুশ বন্ধেও উদ্যোগটি ব্যাহত হচ্ছে। চিংড়ি বণিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর বলেন, আমাদের তৎপরতায় পারুলিয়াতে চিংড়িতে অপদ্রব্য প্রায় বন্ধ হয়েছে।

ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা এখন আশপাশের এলাকা থেকে অপদ্রব্য পুশ করে তারপর পারুলিয়াসহ বিভিন্ন মৎস্য সেডে এনে বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলার গাজীরহাট মৎস্য সেড, শশাডাঙ্গা মৎস্য সেড এবং আশাশুনির বদরতলা মৎস্য সেড ও ব্যাংদহা এলাকা এখন অসাধু ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থানে পরিনত হয়েছে।

এসব স্থান থেকে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি ও রপ্তানী করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে অপদ্রব্য পুশ কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। একইসাথে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে গাজীরহাট, শশাডাঙ্গা, বদরতলা ও ব্যাংদহা এলাকায় অভিযান পরিচালনাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন