অনলাইন ডেস্ক:
বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাবিবুর রহমানের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত ৭ আগস্ট সেই নারীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহিউদ্দিন এ নোটিশ পাঠান। ৭ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো জবাব দেননি সাবেক ডিসি হাবিবুর রহমান।
এ বিষয়ে আইনজীবী মহিউদ্দীন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বিয়ের কথা বলে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন সাবেক ডিসি হাবিবুর রহমান। কিন্তু পরে তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি। ফলে আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো জবাব দেননি তিনি। এ কারণে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেব।’
গত দুদিন ধরে বরগুনার সাবেক ডিসি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এসব ভিডিও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হয়াটসঅ্যাপসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। জেলার একজন উচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তার এমন কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার পাশাপাশি মানুষ কৌতূহল নিয়ে ভিডিও দেখার চেষ্টা করছেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাবিবুর রহমান বরগুনার ডিসি হিসেবে যোগদান করেন। আড়াই বছর পর ২০২৩ সালের ৯ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সরিয়ে উপসচিব পদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখায় পদায়ন করা হয়। তিনি নবাগত জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলামের কাছে ৩০ জুলাই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ৪ সেপ্টেম্বর উপসচিব পদ থেকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিও পেয়েছেন হাবিবুর রহমান।
এদিকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, ‘দুই দিন পর্যন্ত তোমার এত ফোন আসে। ভালোভাবে তোমার সঙ্গে কথাও বলা যায় না। ডিসির হাতে একটি অপো টাচ ফোন।’ দ্বিতীয় ভিডিওতে হাসি-তামাশা করে ওই নারীর কপালে চুমু দিতে দেখা যায়। পাশাপাশি লাল কভার বালিশে শুয়ে গল্প করছেন তারা। তৃতীয় ভিডিওটি হালকা অন্ধকারে। সেখানে অন্তরঙ্গ পরিবেশ। আনন্দ-ফুর্তির শব্দ শোনা যায়।
আরও জানা যায়, ওই নারীর স্বামী ছিলেন একজন পাইলট। তার একটি মেয়ে রয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর ডিসির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার। ডিসি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। ঘুরেছেন দুজন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে।
বরগুনার স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, ভিডিওটি ডিসি বাংলোর পূর্বপাশের দোতলার একটি কক্ষ বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাবিবুর রহমানকে অনেকবার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি।