জাতীয় ডেস্ক:
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনছার উদ্দিনকে (৫০) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। ওই কর্মকর্তা বর্তমানে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কনকদিয়া ইউনিয়নের স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্মকর্তা আনছার উদ্দিন কনকদিয়া বাজারে গেলে শাহীন তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি লাথি মেরে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনছার উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে একটি বিভাগীয় তদন্তের কাজে গেলে চেয়ারম্যান শাহীন কাজে বাধা দেয়। সে সময় প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন চেয়ারম্যান। ওই ঘটনায় ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ভুক্তোভোগী আনসার বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শেষে পুলিশ চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই মামলায় চেয়ারম্যান শাহীন গ্রেপ্তার হন। জামিনে এসে সম্প্রতি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন চেয়ারম্যান শাহিন। মামলা না তোলায় গতকাল রাতে দলবল নিয়ে পুনরায় তাকে পিটিয়ে জখম করেছেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, আনসার বিএনপির লোক তাই আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ জুন সালিশ বৈঠকে ১৪ বছরের কিশোরীকে জোর করে বিয়ে করে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন এই ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।