হোম রংপুর বিয়ে বাড়িতে বর ও ইউএনও একসঙ্গে হাজির, জরিমানা

বিয়ে বাড়িতে বর ও ইউএনও একসঙ্গে হাজির, জরিমানা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 88 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

বাড়িতে চলছিল বিয়ের শেষ প্রস্তুতি। বর বিয়ে করতে লোকজন নিয়ে হাজির হন কনের বাড়িতে। ঠিক একই সময় বিয়ের আসরে ইউএনও হাজির। ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের বাবার ৫ হাজার ও বরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয় তার বাবার কাছ থেকে।

শুক্রবার (১ মার্চ) দিনগত রাত ১১টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর পোস্টঅফিস পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, বৈদ্যনাথপুর পোস্টঅফিস পাড়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পাশের পশ্চিম রহিমাপুর গ্রামের মৃত দারাজ উদ্দিনের ছেলে নওয়াব আলীর। শুক্রবার রাত ১১টায় বরযাত্রীও চলে আসে বিয়ে করার জন্য। এ সময় বাল্যবিয়ের খবর পান ইউএনও রুবেল রানা।

এরপর বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে ইউএনও সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর বাবাকে ৫ হাজার টাকা ও বর নওয়াব আলীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা নেওয়া হয়।

তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি বৈদ্যনাথপুর পোস্ট অফিসপাড়া গ্রামে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় মেয়ের বাবাকে ৫ হাজার ও বরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন মর্মে মেয়ের বাবা-মা মুচলেকা দেন।

মেয়ের বাবা বলেন, ‘ভুল বুঝে অল্প বয়সে মেয়েটার বিয়ে দিতে ধরছিলাম। ইউএনও সাহেব আমার চোখ খুলে দিয়েছে, বুঝিয়েছেন অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিলে কী ক্ষতি হয়। তাই বিয়ে ভেঙে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দেব।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন