হোম আন্তর্জাতিক পাকিস্তানে ব্যবসায়ীদের দেশ ছাড়ার হিড়িক, কারণ কী?

পাকিস্তানে ব্যবসায়ীদের দেশ ছাড়ার হিড়িক, কারণ কী?

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 65 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গেল কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ছিল দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিও। সম্প্রতি সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। আর এ অবস্থার মধ্যেই পাকিস্তানের অভিজাত ব্যবসায়ীদের দেশ ছাড়ার হিড়িক দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন অনিশ্চয়তার কারণে দুবাইয়ের আবাসন খাতে বেশি বিনিয়োগ করছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া আমদানি–রফতানির ব্যবসাও খুলেছেন তারা।

গত ২০ মাসে বিপুল সংখ্যক ধনী ব্যবসায়ী পাকিস্তান ছেড়ে দুবাইয়ে ব্যবসা স্থানান্তর করেছেন বলে জানা গেছে।

আনোয়ার খাজা নামে পাকিস্তানের সুপরিচিত এক ব্যবসায়ী বলেছেন, দুবাইয়ের আবাসন খাতে পাকিস্তানিদের বিনিয়োগে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এখন তারা সেখানে অন্যান্য ব্যবসা–বাণিজ্যও শুরু করেছেন।

একসময় করাচিতে প্রচুর বিনিয়োগ ছিল আনোয়ার খাজার। কিন্তু তিনি তার বেশিরভাগ ব্যবসাই এখন দুবাইয়ে নিয়ে গেছেন। আনোয়ার খাজার মতো আরও অনেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা স্থানান্তর করেছেন দুবাইয়ে। এতে বিপুল সংখ্যক রাজস্ব ও কর্মসংস্থান হারাচ্ছে পাকিস্তান।

এ ব্যাপারে আনোয়ার খাজার ভাষ্য, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা ব্যবসার অনুকূল নয়। আইনশৃখঙ্খলা পরিস্থিতিরও ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এসব পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ব্যবসার জন্য আশঙ্কাজনক। এছাড়া করাচির ব্যবসায়ীদের কোনো না কোনো গোষ্ঠীকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়।

এর বিপরীতে দুবাইয়ে ব্যবসা করা সহজ মনে করেন আনোয়ার খাজা। তার মতে, দুবাইয়ে ব্যবসা করা খুবই সহজ, সেখানে আমদানি–রফতানির জন্য হিসাব খুলতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। তাই টাকা উপার্জনের জন্য দুবাইয়ের আবাসন খাত সত্যিই এক স্বর্গ।

করাচি-ভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ট্রেসমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল মামসা বলেন, ‘পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। এ জন্য রাজস্ব বাড়াতে হবে। আর রাজস্ব বাড়াতে হলে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি করতে হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন