হোম এক্সক্লুসিভ জিনিসপত্রের দামের জন্য কোনো মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, প্রশ্ন মন্ত্রীর

জিনিসপত্রের দামের জন্য কোনো মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, প্রশ্ন মন্ত্রীর

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 375 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক :

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রশ্ন তুলে বলেছেন, একশ্রেণির মানুষ গুজব ছড়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, এখন মানুষ মারা যাবে। কিন্তু গেল এক মাসে জিনিসপত্রের দামের জন্য কোনো মানুষ না খেয়ে উপবাসে মারা গেছে?

তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের কোনো মানুষ উপবাস থাকে না। খালি নুন দিয়ে ভাত খায় না। চৈত্র মাসের আকাল দেখেছি, কার্তিক মাসের কলেরা দেখেছি। এখন আর এসব দেখা যায় না। আল্লাহ এ অবস্থা থেকে আমাদের বের করে নিয়ে এসেছেন। আগে বয়স ৪০ হলে বলত বুড়ো, এখন ৮০ বছরেও কেউ বুড়ো বলেন না।

বুধবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের হলরুমে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম সমবায় সমিতি লিমিটেডের উপকারভোগীদের মধ্যে ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বাজবে না। আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগের শেকড় উপড়ে ফেলা অসম্ভব। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের শেকড় শক্ত, টেনে তোলা যাবে না। বিএনপি সেনাবাহিনীর বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় এসেছিল, আওয়ামী লীগ আসে নাই। বিদায় ঘণ্টা না, কোনো ঘণ্টা বাজানোর ভয়ভীতি আওয়ামী লীগের নেই।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়া আছে, দরদ আছে, ভালোবাসা আছে। একদল দেশকে তিন মাস আগে শ্রীলঙ্কার কাতারে দেখতে চেয়েছিল, কিন্তু তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে দেশের হাল ধরে আছেন। কোনোভাবেই দেশ বিপথগামী হবে না। দুই দেশের যুদ্ধের জন্য আমরা সাময়িক অসুবিধায় আছি। আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

এখন বিদ্যুতের জন্য মানুষ কষ্ট করছে, তা আমরাও বুঝি। আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা নিরসন হবে। বাংলাদেশ রাজা-বাদশার দেশ না, জনগণের ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে দেশ চালায়। বন্যার সময় বিএনপি ঢাকা থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছে আর আওয়ামী লীগ বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। বিএনপির নেতারা ঢাকায় বসে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু জনগণের জন্য কোনো কাজ করেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম ডুংরিয়া সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সমবায় কর্মকর্তা মাসুদ আহমদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি বিশ্বাস ও জেলা সমবায় কর্মকর্তা বশির আহমদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুব আলম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, এসি ল্যান্ড সকিনা আক্তার, ওসি খালেদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তহুর আলী, ডুংরিয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মদন মোহন রায় প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন