হোম খুলনাঝিনাইদহ জানজট নিরসনে নেমে মেয়র খেলেন মামলা, তুচ্ছ ঘটনায় তুলকালাম

জানজট নিরসনে নেমে মেয়র খেলেন মামলা, তুচ্ছ ঘটনায় তুলকালাম

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 134 ভিউজ

শিপলু জামান, ঝিনাইদহ :

নানা জনদরদি কাজ করে বরাবরাই আলোচনায় থেকেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম ।দায়িত্বভার গ্রহন করার পর একের পর এক ভাল কাজ উপহার দিয়েছেন পৌরবাসীকে ।সম্প্রতি তিনি শহরের জানজট নিরসনে নেমে মামলার আসমী হওয়ায় শহর জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা ।

জানাগেছে ,চলতি মাসের ২২ মার্চ (শুক্রবার) শহরের জানজট নিরসনে স্বশরীরে মাঠে নামেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম ।দিনভর শহরের ব্যস্ততম পয়েন্টে পৌর কাউন্সিলর ও কর্মাকর্তা কর্মাচারীদের নিয়ে অবস্থান নেন তিনি ।এ সময় তিনি পথচারীদের দূর্ভোগ কমাতে সচেতনতামূলক মাইকিং ও যত্রতত্র গাড়ি পাকিংয়ের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করেন ।এসময় শহরের চাইনা বেডিং এর সামনে রাস্থার উপর টিপু সুলতান নামের এক পথচারী মোটরসাইকেল রাখলে, মেয়র তাকে নিষেধ করেন ।ক্ষিপ্ত পথচারী টিপু সুলতান বলেন ,এটি রাষ্ট্রপতির মোটরসাইকেইল ”।এসময় মেয়রের সাথে থাকা লোকজন টিপু সুলতানের উপর চড়াও হয় ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ,মেয়র অনেক চেষ্টা করে দু’পক্ষকে সামাল দিতে ব্যর্থ হন ।এরপর পথচারী টিপু সুলতান আহত হলে মেয়র আশরাফ দ্রুত থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন ও আহত টিপু সুলতানকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পিলেক্সে ভর্তি করেন।ঘটনার তিন দিন পর টিপু সুলতানের মা রিজিয়া বেগম বাদি হয়ে মেয়র আশরাফকে ১ নম্বর আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন ।এরপর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করে আদালতে প্রেরন করেন ।

এ ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর হোসেন বলেন ,আমি সেদিন ঘটনা শেষ পর্যন্ত দাড়িয়ে দেখেছি ।মেয়রের কোন দোষ আমার চোখে বাধেনি ।পরে শুনলাম মেয়রের নামে মামলা হয়েছে ।এটা আমি বিশ^াসই করতে পারছি না ।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি রিজিয়া বেগমের সাথে তার ব্যবহারিত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে ।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন , আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ।সেদিন শহরবাসীর জন্য আমার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে রোজা রেখে জানজট নিরসনে সারাদিন শহরে কাজ করেছি ।দুপুরে আমার পরীচ্ছন্নকর্মীদের সাথে টিপু নামের এক পথচারীর দ্বন্দ হলো ,সে মামলায় আমাকে প্রধান আসামি করা হলো।আমি মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ।এটা দুঃখজনক ।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু আজিফ জানান , আহত টিপু সুলতানের মা রিজিয়া বেগম ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন ।আমরা ইতিমধ্যে ৩ জনকে আটক করেছি ।বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন