হোম ঢাকাশরীয়তপুর চিকিৎসক তন্বীর ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি

চিকিৎসক তন্বীর ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 128 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বী ও তার পরিবারের ওপর হামলাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার শিধলকুড়া বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান তারা। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন নুসরাত তারিন তন্বীর সঙ্গে ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম মৃধার ওষুধ লেখা সংক্রান্ত ঝামেলার জের ধরে ৩১ ডিসেম্বর বুধবার রাতে ডামুড্যা বাজারের আলী আজম জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় নুসরাত তারিন তন্বী, তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জন মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মাসুমা খাতুনের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।

মাববন্ধনে বক্তাদের অভিযোগ এ হামলা চালিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর ও ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবরের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তামজিদ মাহমুদ লিখন মাদবর।

এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার মামলা হলে আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবর ও শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবর বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। তবে এখনও পলাতক আছে তার ছেলে তামজিদ মাহমুদ লিখন মাদবর।

মানববন্ধনে নুসরাত তারিন তন্বীর চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান জিহাদ বলেন, ‘একজন চিকিৎসক তার এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে গ্রামের হাসপাতালেই চাকরি নিয়েছেন। তার ওপরে এমন হামলা নিন্দাজনক। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের আমরা সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাই। পাশাপাশি যে আসামি এখনও পলাতক রয়েছে তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানাই।’

শিধলকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান হায়ৈকার বলেন, ‘তন্বী আমাদের এলাকার সন্তান। ওকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তন্বীর স্বামীও একজন চিকিৎসক। তাদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। অপরাধী যেই হোক না কেন, তার যেন আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাজা হয়।’

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনার মামলায় দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন আসামি পলাতক আছে। তাকে ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। দ্রুত তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন