হোম চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু

চট্টগ্রামে কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 89 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

চট্টগ্রাম নগরীর আবাসিক এলাকায় শিক্ষাশালা নামে কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

বহদ্দারহাটের খাজা রোড এলাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজের রুমে ঘুমাতে যায় সে। পরদিন সকালে পরীক্ষার হলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘুম থেকে না জাগায় রুমের দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় বের করে তাকে চমেক হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থী কয়েক মাস ধরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডের শিক্ষাশালা কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে আসছে। এ সুযোগে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও মামলার আসামি জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় ছবিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধর্ষিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাই জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় আসামি করা হয় কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে হামিদ মোস্তফা জিসানকে (২১), যিনি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিল।

এ ঘটনায় পুলিশ কোচিংয়ের শিক্ষক মোস্তফা জিসানকে গ্রেফতার করেছে। জিসান কক্সবাজারের মহেশখালী থানার পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন